জেবিসির ৫০ বছরপূতি ‘‘সূবর্ণ জয়ন্তী” অনুষ্ঠিত
দৈনিকসিলেটডটকম
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেছেন, আর্থ সামাজিক উন্নয়নে জীবন বীমার কর্মীদের তৎপর হতে হবে। বীমা শিল্পের উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে, দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বীমার ভূমিকা ইতিবাচত প্রভাব রাখে, সে জন্য সরকারী খাতের একমাত্র বীমা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জীবন বীমা কর্পোরেশন সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের মানুষের জীবন মান আরো সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে জীবন বীমা কর্পোরেশনের আকর্ষনীয় স্কীমগুলোর ব্যাপারে জন সচেতনতা বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে এগুতে হবে।
তিনি গতকাল রোববার জীবন বীমা কর্পোরেশনের ৫০ বছরপূর্তি “সুবর্ণ জয়ন্তী” ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে ৬নং আইন বলে জীবন বীমা কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি গঠনের পর থেকে একটি স্ব-অর্থায়িত বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বগৌরবে তাদের কার্য্যক্রম পরিচালিত করছে। খুশির বিষয় হচ্ছে, সরকার থেকে এ কর্পোরেশনের কোন ভর্তুকির প্রয়োজন হয় না।
জীবন বীমা কর্পোরেশনের সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ের ম্যানেজার-অর্থ ও হিসাব মো. রেজাউল করিম এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোবারক হোসেন। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, যুক্তরাজ্য, চীন সহ আরো কয়েকটি দেশ বীমা ব্যবসায় রেটিংয়ের দিক দিয়ে আমাদের দেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকলেও আমাদের দেশ এ ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে, এ ক্ষেত্রে আমাদের আরও তৎপর হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
জীবন বীমা কর্পোরেশনের সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার-ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার পূর্বে জেলা প্রশাসক অফিসের সামনে উন্মুক্ত স্থানে সকাল ৯টায় বেলুন উড়িয়ে দিবসের সূচনা করেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসটির স্মরনে কর্পোরেশনের স্থানীয় কর্মকর্তা-কর্মচারী বীমা কর্মী ও গ্রাহকদের উপস্থিতিতে জেলা প্রশাসক কেক কেটে “সুবর্ণ জয়ন্তীর” অনুষ্ঠান উদ্ভোধন করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, রাষ্ট্রীয় বীমা প্রতিষ্ঠান হিসাবে জীবন বীমা কর্পোরেশন এর লাইফ ফান্ড বর্তমানে ২৫৩৪.৪৪ ও বিনিয়োগ বাবদ ২১২৫.০৭ কোটি টাকা রয়েছে। তিনি বলেন, এটা বলতে দ্বিথা নেই যে, জীবন বীমার গ্রাহকরা সর্বোত্তম সঞ্চয়, আর্থিক নিরাপত্তা, স্বচ্ছল অবসর জীবনের নিশ্চয়তা পাবার কারণেই প্রতিষ্ঠানের বিশাল লাইফ ফান্ড ও বিনিয়োগ বাবদ এতো বিরাট অংকের অগ্রগতি।