শাহজালাল সার কারখানায় যান্ত্রিক ত্রুটি, ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
তিনবছরের বেশি সময় ধরে ওভার হোলিং বন্ধ থাকায় ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল সারকারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ২০১৯ সালে শেষ ওভার হোলিং হয় এরপর আর এখন পর্যন্ত ওভার হোলিং হয়নি।
একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চলার পর যন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমতে থাকে। তখন যন্ত্রাংশ খুলে পরিষ্কার, মেরামত ও পরিবর্তন করে পুনঃসংযোগ করতে হয়। ২০১৯ সালের পর থেকে এই কাজ (ওভারহোলিং) না হওয়ায় যন্ত্রাংশ কারখানাটি দফায় দফায় বন্ধ হচ্ছে।
চলতি অর্থ বছরে ১০ মাসে প্রায় ১০ বার বন্ধ হয় কারখানাটি। একই বছরের শুরুতে এমোনিয়া প্লান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। দুই মাস ১০ দিন বন্ধ থাকার পর বিদেশ থেকে প্রকৌশলী এনে সংস্কার করা হলে উৎপাদনে যায় কারখানাটি। কিন্তু দেড় মাসের মাথায় যান্ত্রিক ত্রুটির দেখা দেয় কারখানা পাওয়ার প্ল্যান্টে। ফের বন্ধ হয় উৎপাদন।
এ অবস্থায় চলতি অর্থ বছর লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হবে না বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। বার বার প্লান্ট বন্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিগত তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সারকারখানার ওভার হোলিং না হওয়া।
সারকারখানা সূত্র জানায়, কারখানা ওভার হোলিংয়ের জন্য ফরেনার যারা আসবে তাদের সিডিউল ঠিক করা হয়নি তাহলে কিভাবে ওভার হোলিং হবে। তাছাড়া যে মালামাল প্রয়োজন তা না আসা পর্যন্ত ওভার হোলিং করা সম্ভব না। ওভার হোলিং কাচামাল বাইরে থেকে এলসি করে আনতে হয়। এলসির জন্য কাগজ চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, চাহিদা পত্র গেলেও এলসি ওপেন হয়নি। কবে হবে তা সঠিক করে বলতে পারছে না কারখানা কর্তৃপক্ষ। কারখানা কর্তৃপক্ষ আরও জানায় ২০১৯ সালে শেষ ওভার হোলিং হয় এরপর আর এখন পর্যন্ত ওভার হোলিং হয়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে তিন বছর ওভার হোলিং না হলেও বড় ধরনের কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বার বার বন্ধ হচ্ছে দেশের সর্বোবৃহৎ সার উৎপাদন কেন্দ্রটি। এটাকে কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনা বলছেন কেউ কেউ।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, এখান থেকে চাহিদা পত্র পাঠালে ও বিসিআইসি ও হাই অথোরিটি একমত না হওয়াতে অনেক সময় প্রয়োজনীয় কাজগুলো সময় মতো করা যায় না। তাই এ বছরও ওভার হোলিং হওয়ার সম্ভাবনা কম। তার পর যদি জরুরি কিছু করতে, হয় তবে যেখানে প্রয়োজন সেখানেই সপ্তাহ দিনের জন্য করা হবে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আগের কারখানা ছিল ম্যানুয়েল একটা বন্ধ হলে সেটাই বন্ধ হতো। এখন অটো হওয়াতে একটি বন্ধ হলে পুরোটাই অচল হয়ে যায়। এদিকে, টানা তিন বছর গত হলেও কারখানাটি ওভার হোলিং না করা কারখানা বার বার বন্ধের কারণ বলে মনে করেন বেশিরভাগ শ্রমিক।