তীব্র হচ্ছে সোনাই নদীর ভাঙন, শঙ্কায় ২৫ গ্রামের মানুষ
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তঘেঁষা ইসলামপুর ইউনিয়নের খরস্রোতা সোনাই নদীতে ভাঙনের কারণে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে ফসলি জমি ও বিশাল একটি ফলের বাগান। একদিকে নাব্য সংকট, অন্যদিকে নদীর কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র হওয়ায় দিশেহারা সীমান্ত জনপদের কয়েক শতাধিক পরিবার। নদীভাঙন রোধ, ফসল-ফলের বাগান রক্ষা, বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও নদী খননের জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ভাঙনকবলিত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নদীতীরের কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে ভাঙন। পর্যায়ক্রমে তা তীব্রতর হচ্ছে। নাব্য সংকটের কারণে পাহাড়ি ঢলের পানি ধারণ করতে পারছে না নদীটি। তীর উপচে পড়ায় কয়েক হাজার হেক্টর কৃষি হুমকির মুখে পড়েছে। নদীভাঙনের কারণে রতনপুর, নিজগাঁও, গাংপার, নোয়াকোর্ট, বাহাদুপুর, বৈশাকান্দি, বসগাঁও, ছনবাড়ীসহ ২৫টি গ্রামের লোকজন শঙ্কিত।
সম্প্রতি রতনপুর বাগানবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী আলী নুর রহমানের ১৫ একর জমির ওপর গড়ে তোলা ফলবাগানটি নদীভাঙনে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাগানের পাশের প্রায় ৪০ ফুট জমি নদীতে চলে গেছে। স্থানীয়রা চাঁদা তুলে প্রায় ২০ লাখ টাকা খরচে বাঁশের বাঁধ নির্মাণ করলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। পরিস্থিতি বিবেচনায় বাগান মালিক আলী নুরের মতো এখানে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও নদী খননের জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
ইউপি চেয়ারম্যান সুফি আলম সুহেল জানান, সীমান্ত এলাকার প্রায় ২৫টি গ্রামের মানুষের দাবি সোনাই নদীর ভাঙন প্রতিরোধে এখানে বাঁধ নির্মাণ ও নদী খনন। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক জরুরি ভিত্তিতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
ইউএনও নুরের জামান চৌধুরী জানান, নদীভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁরা জেনেছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমানের দাবি, উপজেলার মধ্যে ইসলামপুর এখনও অনেক অবহেলিত। এখানে নদীভাঙনসহ নানা সমস্যা রয়েছে। অন্য উপজেলার তুলনায় ছাতকে সরকারি বরাদ্দের পর্যাপ্ত নয়। এ সময় নদীভাঙনের ব্যাপারে স্থানীয় এমপির সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেন তিনি।
গত বছরের ভয়াবহ বন্যায় ইউনিয়নের ৯৫ শতাংশ বাড়িঘর ও শতভাগ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে বাইড়ং নদী শুকিয়ে যাওয়ায় সেচ কাজ চরমভাবে ব্যাহত হয়।