মেডিটেশন বা ধ্যানে কার্যকারিতা এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমাণিত
দৈনিকসিলেটডটকম
‘ভালো মানুষ, ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় গ্রহণের মধ্য বিশে^র অন্যান্য দেশের মানুষের সাথে সিলেটেও আজ (২১ মে ২০২৩) বিশ^ মেডিটেশন দিবস পালিত হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ন্যায় উন্মুক্ত স্থানে উৎসবমুখর পরিবেশে বিশ^ মেডিটেশন দিবস পালনের কর্মসূচি অনুযায়ী আজ (২১ মে ২০২৩) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে নানা পেশার মানুষ এসে সমবেত হন। ভোর ৬টা ১ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে দিবসের কর্মসূচি সূচনা করা হয়। শুরুতে ঢাকা থেকে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক নাহার আল বোখারি (মা জী) ভার্চুয়ালি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীর প্রায় ৫০ কোটি লোক নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। শারিরীক মানসিক সামাজিক ও আত্মীক অর্থাৎ টোটালি ফিট থাকতে মেডিটেশন বা ধ্যানে কার্যকারিতা এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রমাণিত। এজন্যে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যোগ মেডিটেশন সেবাকে স্বাস্থ্য সেবার পরিপূরক হিসেবে বিবেচনা করে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট রয়েছেন তাদের প্রতি বিশেষ নির্দেশনা জারি করেন। শিক্ষার্থীদেরকে দৈহিক, মানসিক ও আত্মীকভাবে সুস্থ রাখার জন্যে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উদ্যোগে টোটাল ফিটনেস কর্মসূচির আওতায় দেশের ৬৪টি জেলার ১২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেডিটেশন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবনের জন্যে আমাদের লাইফ স্টাইল বা জীবনধারা পরিবর্তন করতে হবে। আর লাইফস্টাইল পরিবর্তনে একটি বড় উপাদান হলো, দৈনন্দিন জীবনে মেডিটেশন বা ধ্যান চর্চাকে অন্তর্ভূক্ত করা।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শহিদ আল বোখারি (গুরুজী) তার ভার্চুয়ালি বক্তব্যে বলেন, বিগত ৩০ বছরে কোয়ান্টাম মেথডের মেডিটেশন চর্চা দেশে বিস্তার লাভ করেছে। মেডিটেশন বা ধ্যান অলৌকিক বা কষ্টসাধ্য কিছু নয়, প্রতিদিন ২০/৩০ মিনিট ধ্যানচর্চা হতে পারে প্রশান্ত ও সুস্থ জীবনের পথে একটি উল্লেখযোগ্য অনুঘটক। সাথে বৈজ্ঞানিক খাদ্যাভ্যাস, যোগ ব্যায়াম, শারিরীক পরিশ্রম, ভালো ঘুম, ইতিবাচক চিন্তা, হাসি ইত্যাদি যুক্ত হলে তো কথাই নেই। অসংক্রামক ব্যাধির দৌরাত্ম কমে যাবে। বেড়ে যাবে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, কর্মক্ষমতা ও প্রাণচাঞ্চল্য। ফলে সাশ্রয়ী হবে চিকিৎসা ব্যয়। যা ব্যক্তিজীবনের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও ফেলবে ইতিবাচক প্রভাব।
সমাপণী বক্তব্যে কোয়ান্টাম সিলেট সেন্টারের মোমেন্টিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা সীতাব আলী বলেন, সাফল্য সুস্বাস্থ্য প্রশান্তির জন্যে মেডিটেশন প্রয়োজন। আমাদের পুরো জাতিকে মেডিটেশনের জন্যে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, যাতে করে আমাদের পুরো জাতি সুস্বাস্থ্য সাফল্য ও প্রশান্তির মধ্যে থাকে। জীবনের জরা দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে পারে, জীবনের স্বপ্নগুলোকে যেন অর্জন করতে পারে।
সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের মনোরম চত্বরে সকালের মিষ্টি রোদে পাখির কলকাকলির মধ্যে সম্মিলিতভাবে প্রত্যয়নপত্র পাঠ, প্রাণায়ামসহ মেডিটেশন দিবসের অন্যান্য কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন কোয়ান্টাম সিলেট সেন্টারের মোমেন্টিয়ার বীর মুক্তিযোদ্ধা সীতাব আলী, সিলেট সেন্টারের ইনচার্জ শাহরিয়ার হারুন, বাগবাড়ি-জিন্দাবাজার শাখার মোমেন্টিয়ার আজিজুর রহমান খান, আম্বরখানা শাখার মোমেন্টিয়ার অধ্যাপক শেখ মো. আবদুর রশিদ, নাজমুন নাহার রহমান, মো. মতিউর রহমান, নৃত্যরঞ্জন দত্ত পুরকায়স্থ, রেজওয়ান আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট শহিদুজ্জামান চৌধুরী, সলিল রায়, আলেয়া সীতাব, লেখক সেলিম আউয়াল, গোলাম সরওয়ার, আজাদ আবুল কালাম, সাজ্জাদুর রহমান, মো. বদরুল ইসলাম, শহীদ আহমদ, শেখ গোলাম রব্বানী, জয়নুল আবেদিন, ইশতিয়াক হোসেন মাহিন, আবদুল হাসিব প্রমুখ।