দক্ষিণ আফ্রিকায় কলেরায় ১০ জনের মৃত্যু
দৈনিকসিলেটডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকার রাজধানী প্রিটোরিয়ায় কলেরার প্রাদুর্ভাবে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ রোববার বলেছে, জনসাধারণকে সর্বোচ্চ সতর্কতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রিটোরিয়ার গৌতেং প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, সোমবার থেকে ৯৫ জন লোক ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব এবং কলেরার লক্ষণ নিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
রোববার ল্যাব পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাদের মধ্যে ১৯ জন কলেরায় আক্রান্ত ছিল। বিভাগটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ৩৭ জন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নিহতদের মধ্যে তিন বছরের একটি শিশু ও নয়জন প্রাপ্তবয়স্ক। খবর এএফপি’র।
প্রাদেশিক স্বাস্থ্য প্রধান নোমান্টু এনকোমো-রালেহোকো বলেন, প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় প্রিটোরিয়ার উত্তরে হামানসক্রালে চিকিৎসক ও নার্সসহ অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
এনকোমো-রালেহোকো বলেন, আমরা জনসাধারণকে সুরক্ষিত রাখায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত দূষিত খাবার, পানি ও পৃষ্ঠতল এড়াতে এবং খাওয়ার আগে বা বাথরুম ব্যবহারের পরে সাবান দিয়ে যথাযথভাবে হাত ধোয়ার জন্য বারবার আহ্বান জানিয়ে আসছি।
কলেরা একটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত রোগ যা সাধারণত দূষিত খাবার বা পানির মাধ্যমে ছড়ায়।
এরআগে, প্রিটোরিয়া শহর হ্যামানসক্রাল এবং আশেপাশের এলাকার বাসিন্দাদের কল থেকে সরাসরি পানি পান না করার জন্য অনুরোধ করা হয়। তিনি আরো বলেন, পানির ট্যাঙ্কার সরবরাহ করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মতে, এক দশক ব্যাপি হ্রাস পাওয়ার পর ২০২১ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী কলেরার পুনরুত্থান ঘটেছে। ৪৩টি দেশের এক বিলিয়ন মানুষ কলেরার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে চলতি সপ্তাহে সতর্ক করা হয়েছে। রোগটি দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানীয় নয়।
জাতিসংঘের মতে, দেশটিতে চলতি বছর অল্প সংখ্যক লোক আক্রান্ত হয়েছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে নিকটবর্তী দু’টি দেশ মালাভি ও মোজাম্বিকে প্রাদুর্ভাবে এই বছর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, সংঘাত বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনকে এর জন্য দায়ী করেছে।
সূত্র: বাসস