ঝড়ে কেড়ে নিলো অসহায় বিধবা নারীর আশ্রয়ের ঠিকানা
নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে আধাঘন্টা ঝড়ে উরে গেল অসহায় আনোয়ারা নামে এক অসহায় বিধবা নারীর টিনের চাল। অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেল ঘরে থাকা অসহায় আনোয়ারা (৫০)। ঝড়ে মাথায় ও হাতে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন তিনি । তার শোর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ঘর থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। মহুর্তের মধ্যই ঝড় এসে একেবারেই শেষ হয়ে যায় আশ্রয়ের ঠিকানা। নিঃস্ব হয়ে পড়েন অসহায় আনোয়ারা।
গত রবিবার সন্ধ্যা ৭ টায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মিরাশি ইউনিয়নের নিশ্চিতপুর এলাকায়। ভূক্ত-ভোগী- আনোয়ারা বলেন, আমার জায়গা জমি কিছুই নেই। আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর আমার একটি সন্তানকে নিয়ে খুবই কষ্ট করে দিন যাপন করছি। প্রতিদিনের মতো রবিবার সন্ধ্যায় রাতের খাবার তৈরির জন্য প্রস্তুত নেই, হঠাৎ মহুর্তের মধ্য কাল বৈশাখী ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়।এতে ঘরেরর টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। এখন থাকার মত ঘর নেই। থাকবো কোথায়। আনোয়ার একমাত্র ছেলে উপার্জনকারী জুয়েল জানায়, কাজের জন্য বাহিরে ছিলাম। মা একা ঘরে একা ছিলেন। রবিবার রাতের ঝড়ে ঘর ভেঙ্গে পড়েছে মা আহত হয়েছেন। আল্লাহর অশেষ মেহের বানীতে অল্পের জন্য বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেও এখন থাকার মত ঘর নেই। মাকে নিয়ে এখন কোথায় আশ্রয় নিবো জানিনা। এ সময় আহত আনোয়ারা ও তার ছেলে জুয়েল কান্না কন্ঠে বলেন,যদি একটু সহযোগিতা পেতাম তাহলে অনেক উপকৃত হতাম। তারা সরকারের সহযোগিতা চান।
অসহায় নারীকে আশ্রয়দাতা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ডা: সিরাজুল ইসলাম জানান, অসহায় আনোয়ারাকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে দুই শতক জমির উপর প্রায় ২০ বছর পূর্বে একটি টিনস্যাড ঘর করে দেই । কিন্তু দু:খের বিষয় রবিবার সন্ধ্যার পর হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে আনোয়ারার বসত ঘর ভেঙ্গে যায়। আমরা তাৎক্ষনিক বাড়ির সকলের সহযোগিতায় ভাঙ্গা ঘরের ভিতর থেকে আনোয়ারারকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসা সহযোগিতা করেছি ।আল্লাহ রক্ষা করছে তাদের কে। তিনি সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এদিকে একই সময়ে একই গ্রামের সাদেক ক্বারী ও দুলাল মিয়া নামে আরো দুজনের ঘর ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারাও । খোলা আকাশের নিচেই কার্যত আতঙ্কে রাত কাটে অসহায়দের । এছড়াও ঝড়ে উপরে পড়েছে বেশ কয়েকটি গাছপালা ।
ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন ৩০ মিনিটের ঝড় তাদের ঘড় বাড়ি সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছে। কিন্তু গরিব অসহায় পরিবারগুলির পক্ষে এই মুহুর্তে নতুন ঘড় তৈরি করা আয়ত্তের বাইরে। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী কমিশনার ভূমি আপিয়া আমিন পাপ্পা জানান, এই মুহূর্তে কোন বরাদ্দ নেই সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে সরকারি সহযোগিতা করা হবে।