পরিচালক সমিতিকে বাচসাসের আল্টিমেটাম
দৈনিকসিলেটডেস্ক
মঙ্গলবার (২৩ মে) সংগঠনটির সহ-সাধারণ সম্পাদক রাহাত সাইফুল স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিচালক সমিতিকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহবান জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়- বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) নির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তরকে এফডিসির অভ্যন্তরে পরিচালক সমিতির আঙিনায় নিষিদ্ধ ঘোষণার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরিচালক সমিতিকে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহবান করছি। কোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি হলে সেটা পারস্পরিক আলোচনায় সমাধান করা যায়। কিন্তু কোনো হটকারী সিদ্ধান্তে নয়। পরিচালক সমিতির এই সিদ্ধান্তকে আমরা হটকারী মনে করি এবং এই সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা প্রার্থণারও আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ তাদের পেশার মান ও মর্যাদা রক্ষায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনোদন সংবাদিকরা বলেন, কেপিআইভুক্ত এলাকায় সরকারি জায়গায় চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি অস্থায়ী অফিস নিয়ে কোনো সাংবাদিককে বয়কট করতে পারে না। কাউকে বয়কট করতে হলে বিএফডিসির বাইরে অফিস নিয়ে তাদের নিজেদের আঙ্গিনায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সাংবাদিকরা জানান, বিএফডিসিতে সমিতির সংখ্যা নেহায়াতই কম নয়। বিএফডিসিতে রয়েছে ১৯টি চলচ্চিত্র সংগঠন। যার মধ্যে রয়েছে- চলচ্চিত্র শিল্পী, পরিচালক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক নামে তিনটি সমিতি। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট যেকোনো সমস্যা সমাধানে কাজ করে বিএফডিসিতে থাকা সমিতিগুলো। তবে গেলো কয়েক বছরে সমস্যা সমাধানের থেকে শিল্পী, তারকা ও কলাকুশলীদের বয়কট ও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রবণতাই বেশি দেখা গেছে চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলোতে। যা নিয়ে হয়েছে বিতর্ক।
গেলো ছয় বছর ধরেই বিএফডিসিতে চলছে সমিতিগুলোর বয়কট বয়কট খেলা। ২০১৭ সালে চলচ্চিত্রের সকল সংগঠন মিলে বয়কট করে চিত্রনায়ক শাকিব খানকে। এরপর মিশা সওদাগর, জায়েদ খানসহ একাধিক শিল্পী কলাকুশলীকে বয়কট করেছে সমিতিগুলো। যার সবশেষ সংযোজন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা। চলতি মাসের ১৬ তারিখ সভা করে আহমেদ তেপান্তরের বিরুদ্ধে পরিচালক সমিতির মহাসচিবের সঙ্গে অসদাচারণের অভিযোগ এনে তাকে বয়কটের ঘোষণা দেওয়া হয়। যা ১৮ মে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে সংগঠনটি।