ফের বিয়ের পীড়িতে ৬০ বছরের অভিনেতা আশীষ
দৈনিকসিলেটডেস্ক
প্রবীণ অভিনেতা আশীষ বিদ্যার্থী ৬০ বছর বয়সে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন ফ্যাশন উদ্যোক্তা রূপালী বড়ুয়াকে। গতকাল জামাইষষ্ঠীর শুভ লগ্নে কলকাতায় একটি অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সবাইকে চমকে দেন। এটি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে, আচমকাই তাঁর নতুন ইনিংস দেখে চমকে গিয়েছেন সবাই।
ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা আগে রাজশ্রী বড়ুয়াকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। যিনি কিনা কলকাতা ইন্ডাস্ট্রির একজন দাপুটে প্রবীণ অভিনেত্রী শকুন্তলা বড়ুয়ার কন্যা। কিন্তু সেই বিয়ে টেকেনি, অনেক আগেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। টলিউড, বলিউড, দক্ষিণী ভাষার একাধিক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।
পর্দার খ্যাতনামা খলনায়ক হিসেবেই পরিচিত আশীষ বিদ্যার্থী। এদিন আশীষ বিদ্যার্থীর প্রাক্তন স্ত্রী রাজশ্রী স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে প্রসঙ্গে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করেছেন নিজের ইনস্টাগ্রামে। যা প্রমাণ করছে, সে হয়তো ভালো জায়গায় নেই। তাঁর রহস্যময় পোস্টের প্রথমটি ছিল, ‘যে মানুষরা তোমার কাছের, সে কখনো জিজ্ঞেস করবে না, তাঁদের কাছে তোমার মূল্য ঠিক কতটা।
সে এমন কোনো কাজ করবে না যাতে তুমি কষ্ট পাও।’
অপর একটি পোস্টে লেখেন, ‘যাবতীয় দুর্ভাবনা এবং সন্দেহ দূর হয়েছে। দ্বন্দ্ব কেটে গিয়ে সব কিছু স্পষ্টভাবে ধরা দিচ্ছে। জীবনে শান্তি এবং স্থিতি আসুক। তুমি নিজে যথেষ্ট শক্তিশালী।
ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে নতুন করে শুরু করতে হবে। জীবন নামের গোলকধাঁধায় হারিয়ে যেয়ো না।’ তাঁর পোস্টে আক্ষেপের আভাস স্পষ্ট। যদিও জানা গেছে,
আশীষের ছেলের বাবার বিয়েতে সমর্থন ছিল।
বিয়ের পর আশীষ বিদ্যার্থীও কলকাতায় তাঁর অভিজ্ঞতার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, আশীষ তাঁর শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। তবে মজার বিষয়, রূপালীর সঙ্গে বিয়ের আগে নাকি পরে এই ভিডিওটি তোলা হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি অভিনেতা।
বিয়ের প্রসঙ্গে অভিনেতা টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “আমার জীবনের এই পর্যায়ে রূপালীর সঙ্গে বিয়ে হওয়াটা একটা অসাধারণ অনুভূতি। সকালে আমাদের কোর্ট ম্যারেজ ছিল, তারপরে সন্ধ্যায় গেট-টুগেদার হয়েছে।” রূপালী, আসামের গুয়াহাটির বাসিন্দা, কলকাতায় তাঁর একটি উচ্চমানের ফ্যাশন স্টোর রয়েছে। আশিস ও রূপালী বিয়ের পর একটি জমকালো রিসেপশনের আয়োজন করেছেন বলে জানা গেছে।
আশিস বিদ্যার্থী ৩০০-র বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। পাশাপাশি তিনি প্রায় ১১টি ভাষার চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। মূলত নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা এবং প্রতিটি চরিত্রেই দর্শকদের আকর্ষণ করেছেন। ১৯৯৩ সালে ভিপি মেননের ছবি ‘সর্দার’ দিয়ে তার অভিনয়জীবন শুরু করেন। তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘দ্রোহকাল’, যার জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পান।