১৪ মাসের শিশু শাহজাহানকে উদ্ধার করেছে গোয়াইনঘাট পুলিশ
গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :
১৪ মাস বয়সী শাহ জাহানকে অপরহরণ করে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে জাফর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার। আইনশৃঙ্খলা বাহীনির সাঁড়াশি অভিযানে অপরহরণ হওয়া শিশুকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেফতার করা হয় এক মহিলাকে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে চুরি হওয়া ১৪ মাসের শিশু শাহজাহানকে হবিগঞ্জে থেকে উদ্ধার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।এ ঘটনার মমতা বেগমকে (৪৫) নামে এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত ১টার নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের সর্দারপুর গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০মে) বেলা ১২টায় সিলেট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংসবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিম।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, গত ২৭ মে সকাল ১০টায় গোয়াইনঘাটের রুস্তুমপুর ইউনিয়নের উপরগ্রামের মো.ফয়জুদ্দিনের ছেলে শাহ জাহান তার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। শাহজাহানকে কোথাও না পেয়ে তার বাবা গোয়াইনঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় জনমনে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
তিনি আরও জানান, সাধারণ ডায়েরি প্রাপ্ত হয়ে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ভিকটিম উদ্ধারে তৎপর হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশের একটি চৌকষ আভিযানিক দল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জের সর্দারপুর গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী মমতা বেগমকে (৪৫) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মমতা ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী। এসময় তার হেফাজত হতে শিশু শাহ জাহানকে উদ্ধার করা হয়।
শেখ সেলিম জানান, অপহরণের মূল পরিকল্পনাকারী জাফর নামক ব্যক্তি নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে ভিকটিম শাহ জাহানকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সে নিজেকে অসহায় ও অনাথ পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের পিতার বাড়িতে অবস্থান নেয়। প্রায় ২০ দিন ভিকটিমের বাড়িতে অবস্থান করে সে এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করে।এতে অপহরণের সুযোগ সন্ধান করতে থাকে। গত ২৭ মে জাফর সুযোগ বুঝে শাহজাহানকে অপহরণ করে নবীগঞ্জে মমতা বেগমের কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে পালিয়ে যায়।
এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্তি পুলিশ সুপার বলেন, মমতা বেগমের এক মেয়ে রয়েছে।তার কোনো ছেলে সন্তান নেই।তাই জাফরের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা চুক্তিতে শিশু শাহজাহানকে ক্রয় করে।
পলাতক আসামি জাফরকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।