সিলেটের সত্য-উদ্যমী অভিনয় শিল্পী ও দক্ষ সংগঠক মোঃ কামাল
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর, দু’টি পাতা একটি কুঁড়ির দেশ, বাংলাদেশের সিলেট একটি আধ্যাত্মিক নগরী, হযরত শাহজালাল ও হযরত শাহপরান (রহ:) সহ তিনশত ষাট আউলিয়ার পূণ্যভূমি সিলেটের এ মাটি। এই শহরে জন্ম নিয়েছেন কবি-সাহিত্যিক, কলামিষ্ট, সাংবাদিক, দার্শনিক, গবেষক, ছড়াকার-গল্পকার, উপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, গীতিকার, নাট্যকার, বুদ্ধিজীবি, আইনজীবি, বাউল, ফকির ও মরমীসহ অনেক জ্ঞানীগুণী সূফী সাধকসহ ক্ষঁণজন্মা কৃত্তিমান ব্যক্তি।
কৃতকর্মের স্মৃতি রেখে অনেকই চলে গেছেন পরপারে। কিন্তু ইতিহাস তাদেরকে অমর করে রেখেছে। চিরদিন অমর থাকবে তাদের কৃতকর্মের মধ্য দিয়ে। মানুষ তার কর্মগুণে স্মৃতিময় আর উজ্জলতার স্বর্ণ শিখরে আরোহন করে। কর্মী মানুষ সবাই হয় না, কেবল তারাই হয় যারা সমাজ সচেতন। এ ধরনের লোকেরা সমাজের, দেশের, জাতির অমূল্য সম্পদ। সেই গুণে গুণান্বিত তারুণ্যের অহংকার, সিলেট নগরীর হাউজিং ষ্টেইটে ১৯৯১সালে মোঃ কামালের জন্ম হয়।
দেশ থিয়েটার ও দেশ যুব সংগঠন সভাপতি মো: কামাল। মো: বাবুল ও মোছা: আফিয়া খাতুনের সুযোগ্য সন্তান, সত্য-উদ্যমী নাট্যনির্মাতা ও মানবতার ফেরিওয়ালা মোঃ কামাল। তিনি বলেন, আমার শত ব্যস্থতার মাঝেও আরেকটি কাজ হচ্ছে নবীন-প্রবীন, জ্ঞানী গুণীকে যথাযথ মূল্যায়ন করা। প্রবাদে আছে, যে গুণীজনকে সম্মান করেনা সে কখন ও সম্মানী হতে পারেনা। মো: কামাল মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও সে দেশে, সমাজে ও সাংস্কৃতিক অঙ্গণে সুপরিচিত। তিনি সিলেটের যোগ্য, দক্ষ একজন অভিনেতা ও সংগঠক হিসেবে সবার কাছে জানা চেনা।
সে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সক্রীয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং তাকে অনেক সামাজিক সংগঠন গুলো থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। এ সব সামাজিক সংগঠনে তার ভূমিকা ও উল্লেখযোগ্য।
মোঃ কামাল ২০০৮ সাল থেকে তার স্ব-উদ্যোগে নাট্যচর্চা ও সামাজিক শুরু করে আজ অবধি দেশের বিভিন্ন বেসরকারী মিডিয়া টি.ভি চ্যানেলে নাটক ইত্যাদি চর্চা করে প্রকাশ করেছে। ২০১৩ সালে নাট্যকর্মী কামালের নিজ উদ্যোগে নাট্য ও সমাজ কল্যাণ সংগঠন” দেশ থিয়েটার দেশ যুব সংগঠন সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে পরিচালনা করে যাচ্ছেন অত্যন্ত নিরলস ভাবে। তার চমৎকার উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী টি.ভি চ্যানেলে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সে দেশ বিদেশ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কাছ থেকে সম্মাননা পদক লাভ করেন। তার দুইশত এর বেশি নাটক ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। নাটকের দর্শকের কাছে সে কেউরি কামাল নামে পরিচিত লাভ করেন।
পরিশেষে ভক্তদের উদ্দ্যেশে মোঃ কামাল বলেন, আসলে লেগে থাকার বা সাধনার কোনো বিকল্প নেই। সততা ও ভালোবাসা নিয়ে লেগেছিলাম বলেই অভিনেতা হতে পেরেছি। সারাজীবন অভিনেতা পরিচয় নিয়েই বাঁচতে চাই। তিনি সিলেট সহ দেশবাসীর কাছে দোয়া সহযোগীতা কামনা করেন।