মহানায়িকার সঙ্গে তুলনাও ধৃষ্টতা: ঋতুপর্ণা
দৈনিকসিলেটডেস্ক
প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। তার রচিত অন্যতম উপন্যাস ‘দত্তা’। ১৯১৮ সালে রচিত এই উপন্যাস নিয়ে নির্মিত হয়েছে একাধিক চলচ্চিত্র। ১৯৫১ সালে এ উপন্যাস অবলম্বনে পরিচালক সৌমেন মুখার্জি নির্মাণ করেন সিনেমা। এতে বিজয়া চরিত্রে অভিনয় করেন সুনন্দা দেবী। ১৯৭৬ সালে অজয় কর নির্মাণ করেন আরেকটি সিনেমা। এতে বিজয়া চরিত্রে অভিনয় করেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের এ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মল চক্রবর্তী নির্মাণ করেছেন ‘দত্তা’ সিনেমা। আগামী ১৬ জুন মুক্তি পাবে এটি। এ সিনেমায় বিজয়া চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
এর আগে বিজয়া চরিত্র রূপায়ন করেছেন সুচিত্রা সেনের মতো বরেণ্য অভিনেত্রী। আর সেই চরিত্রে অভিনয় করার আগে বুক কেঁপেছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, ‘সুচিত্রা সেন বা সুনন্দা দেবী দত্তা করেছেন। সুনন্দা দেবীর ‘দত্তা’-এর সময় আমার জন্ম হয়নি। সুচিত্রা সেনের ‘দত্তা’-এর সময়ে আমার জন্ম হয়েছে। কিন্তু এত ছোট ছিলাম যে, আমার মনেও নেই, পরে দেখেছি। উনি মহানায়িকা, নমস্য ব্যক্তি। তার সঙ্গে তুলনাও ধৃষ্টতার।’
বিষয়টি আরো ব্যাখ্যা করে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন— ‘‘দত্তা’ একটা চিরন্তন উপন্যাস। এর যে বিষয় এবং বিজয়ার চরিত্র অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, সেই সময় থেকে এই সময়েও। সেই সমাজেও কিন্তু বিজয়ার চরিত্র স্বতন্ত্র। একটা ফিউডাল সোসাইটিতে কীভাবে নিজের জায়গা করে, একজন নারীর ভয়েস অনেক দূর যেতে পারে, সেই দিনে দাঁড়িয়ে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। পুরো ফিউডাল সোসাইটি এবং ব্রাহ্মসমাজের বিপ্রতীপে গিয়ে সে নিজের ব্যক্তিসত্তাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আমার কাছে ‘দত্তা’ চিরকালীন। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বিজয়ার মতো চরিত্র ঘরে ঘরে প্রয়োজন। আজকের পরিপ্রেক্ষিতেও ভীষণ বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রাসঙ্গিক চরিত্র এটা।’’
‘দত্তা’ সিনেমার অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন— জয় সেনগুপ্ত, সাহেব চ্যাটার্জি, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, দেবলীনা কুমার, প্রদীপ মুখার্জি প্রমুখ।