গণধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা তরুণী, আটক ২

নুর উদ্দিন সুমন , হবিগঞ্জ
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার মামলায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন : আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের বনগাঁও কোটবাড়ি এলাকার মৃত ইদ্রিস মিয়ার পুত্র জামাল আহমেদ (৪০), একই এলাকার মৃত মতলিব মিয়ার পুত্র আব্দুস সালাম (৪৫)। গ্রেপ্তারকৃতদের রবিবার (৪ জুন) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত )গোলাম মোস্তফা পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাশেদুল হক।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার বালিয়ারী গ্রামের এক দিনমজুরের মেয়ে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী(১৪) মানুষের বাসায় ঝিয়ের কাজ করেন। গেল বছরের ১০ আগস্ট একই ইউনিয়নের উবাহাটা গ্রামের আব্দুল আলীর স্ত্রী মিনারা খাতুন তাহার বাড়িতে কাজের কথা বলে কিশোরীকে নিয়ে যান। কিছুদিন পর মিনারা বনগাঁও এলাকার মৃত এংরাজ মিয়ার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারের হেফাজতে রাখেন। সেখানে তার (তাছলিমার) বাড়িতে একাধিক লোক গণধর্ষণ করে বলে মামলায় উল্লেখ করেন ভিকটিমের মা । এঘটনায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আল্টাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দেখা যায় মেয়েটি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । পরে কিশোরীর মা হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ১১ মে ৬জনরে নাম উল্লখে করে একটি মামলা দায়ের করেন । বিচারক এফআইআর গণ্যে মামলা রুজুর আদেশ দেন চুনারুঘাট থানাকে ।
সেই আদেশপ্রাপ্তির পর গত ২ জুন মামলা রুজুর হলে ৩ জুন শনিবার রাতে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা । এ তথ্য নিশ্চিত করে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, ভিকটিম থানা হেফাজতে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহন করেন।
ওই কিশোরীর মা বলেন, আমরা গরিব। আমি মানুষের বাড়ি ঝিয়ের কাজ করি । আমরা এখন সমাজে মুখ দেখাতে পারি না। আমার মেয়েটাকে সর্বনাশ করেছে যারা আমি তাদের বিচার চাই। তবে অভিযুক্ত আব্দুস সালামের দাবী একটি চক্র তাকে ফাঁসিয়েছে।