সাহিত্য মেলা চার জেলার সাহিত্যকর্মীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করলো

দৈনিকসিলেটডটকম
‘সিলেট বিভাগীয় সাহিত্য মেলা চার জেলার সাহিত্যকর্মীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করলো। কাছাকাছি নিয়ে এলো পরিচিত-অপরিচিত লেখকদেরকে। তাই আশা করা যেতেই পারে, পারস্পরিক নতুন সম্পর্ক এ অঞ্চলে সাহিত্যচর্চায় নতুন গতি সঞ্চার করবে।’
এমন আশাবাদই ব্যক্ত করা হলো বিভাগীয় সাহিত্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে। রবিবার, ৪ জুনেও ছিল দিনভর নানা আয়োজন। উপস্থিতি ছিল প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। সবশেষে বর্ণিল সাংস্কৃতিক আয়োজন সবাইকে মুগ্ধ করে।
দু’দিনব্যাপী সিলেট বিভাগীয় সাহিত্য মেলার শেষদিনে সকাল সাড়ে ১০টায় ছিল ‘কবি কণ্ঠে কবিতা, ছড়া ও গীতিকবিতা পাঠ’। এ পর্বে সভাপতিত্ব করেন ছড়াকার বিধুভূষণ ভট্টাচার্য। গীতিকবি শামসুল আলম সেলিমের সঞ্চালনায় এতে নিবন্ধিত অর্ধশতাধিক কবি-ছড়াকার স্বরিচত লেখা পাঠে অংশ নেন।
এরপর ছিল ‘ছোটগল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী ও নাটকের অংশ বিশেষ পাঠ’। কবি এ কে শেরামের সভাপতিত্বে ও নাট্যসংগঠক হুমায়ুন কবির জুয়েলের সঞ্চালনায় নিবন্ধিত দশ জন লেখক লেখা পাঠ করেন।
তৃতীয় পর্বে ছিল ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘লেখালেখির গল্প’। কবি-অনুবাদক জাকির জাফরানের সঞ্চালনায় এতে অংশ নেন কবি-গবেষক শুভেন্দু ইমাম, লেখক-সাংবাদিক আল আজাদ, কবি-কথাসাহিত্যিক আকমল হোসেন নিপু (মৌলভীবাজার), কবি-গবেষক ড জফির সেতু, গবেষক কল্লোল তালুকদার (সুনামগঞ্জ) ও কবি-অনুবাদক মুহম্মদ ইমদাদ। অনুষ্ঠানে এই লেখকদের লেখালেখি, লেখার বিষয়াদি, প্রেম, আত্মসমালোচনা, সাহিত্যচর্চার হালচাল ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে।
এরপর ছিল সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো মজিবর রহমান। অতিথি ছিলেন কবি-গবেষক শুভেন্দু ইমাম ও কবি-কথাসাহিত্যিক আকমল হোসেন নিপু। সঞ্চালনায় ছিলেন জান্নাতুল নাজনীন আশা।
সবশেষে ছিল সৈয়দ সাইমূম আনজুম ইভান ও জান্নাতুল নাজনীন আশার উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে চার জেলার শিল্পীরা নাচ, গান ও মালজোড়া গান পরিবেশন করেন।