পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
দৈনিকসিলেটডেস্ক
আজ সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়। পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তা-স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
রোববার (৪ জুন) বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষক যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষায় বিগত ১৫ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বন্ধ রাখা হয়েছিল।
এতে বলা হয়, পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়ন করছে রোডম্যাপ। এতে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে। গত দুই বছরে দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে ১০ লাখ টন। দুই বছর আগে যেখানে উৎপাদন হতো ২৫ লাখ টনের মতো, এখন উৎপাদন হচ্ছে ৩৫ লাখ টনের মতো।
রোববার (৪ জুন) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন ভবনে এক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়টি আমাদের জন্য উভয় সংকটের মতো। পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দাম অনেক কমে যায়, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়; পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আর আমদানি না করলে দাম বেড়ে যায়, ভোক্তাদের কষ্ট হয়। সেজন্য সব সময়ই আমরা চাষি, উৎপাদক, ভোক্তাসহ সবার স্বার্থ বিবেচনা করে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।
পেঁয়াজের উৎপাদন ও বিপণনের বর্তমান চিত্র
২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। এ বছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। পেঁয়াজের সংগ্রহ থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে বিভিন্ন ধাপে অপচয় ২৫-৩০ শতাংশ বাদে গত বছর নিট উৎপাদন হয়েছে ২৪.৫৩ লাখ টন। বাংলাদেশে পেঁয়াজের চাহিদা বছরে প্রায় ২৮-৩০ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরে পেঁয়াজ আমদানি হয় ৬.৬৫ লাখ টন।
এদিকে, বাজারে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। ৮০ টাকা থেকে ৭৫ টাকায় পেঁয়াজের দাম নেমে ফের আবার ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। মূলত পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানতে আমদানির কথা বলা হয়েছিল কিছুদিন আগে। তখনই ৮০ টাকা থেকে নেমে প্রতি কেজি বিক্রি শুরু হয় ৭৫ টাকায়। কিন্তু আমদানির কোনো কার্যকারিতা খুচরা বাজারে না আসায় ফের পেঁয়াজের দাম ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় ঠেকেছে। এ অবস্থায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির ঘোষণা দিলো কৃষি মন্ত্রণালয়।