সিকৃবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

দৈনিকসিলেটডটকম
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত হয়েছে। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে।” এবং স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে “ সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ।”
সোমবার (৫ই জুন) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের আয়োজনে ক্যাম্পাসে র্যালি ও বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালিত হয়। র্যালিটি দুপুর ১টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কৃষি অনুষদ ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সহযোগী অধ্যাপক ড. রানা রায়ের সঞ্চালনায় র্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষক নেতৃবৃন্দ সহ অন্যান্য শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, আমরা পরিবেশের কি পরিমাণ ক্ষতি সাধন করেছি তা এই তপ্ত রোদে টের পাচ্ছি। অবাধ প্লাস্টিকের ব্যবহার আর যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা আমাদের একটা বদঅভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্লাস্টিক আমাদের পরিবেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা স্কুল পর্যায়ের শিক্ষাব্যবস্থায় অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে শিশুদের বুঝাতে হবে। জাতিগত ভাবে পাটের তৈরি পণ্য ব্যবহারে আমরা হীনমন্যতায় ভুগি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই হীনমন্যতায় আমাদের প্লাস্টিক ব্যবহারমূখীতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এছাড়াও তিনি প্লাস্টিকের অবাধ ব্যবহার ও যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে সংযত থাকতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থী সহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সামিউল আহসান বলেন, আমাদের পরিবেশের যে ক্ষতি আমরা ইতোমধ্যে করে ফেলেছি তার জন্য সচেতনতা এবং বৃক্ষরোপণের কোনো বিকল্প নেই। আমরা যদি পরিবেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রা এখন থেকে ১০ বছরের সাথে তুলনা করি তাহলে দেখতে পাবো কি ভয়াবহ সংকটময় অবস্থার মাঝে রয়েছি। বৃক্ষনিধনকে এই বর্ধনশীল তাপমাত্রার প্রধান কারন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আমাদের এখন বৃক্ষরোপণের পিছনে ব্যক্তিগত এবং জাতীয়ভাবে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
র্যালি ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা শেষে কৃষি অনুষদ ভবনের উত্তর পাশে কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা মাঠের সামনে বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ, শিক্ষক সমিতি ও কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ তিনটি বৃক্ষ রোপন করে।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনইপি) উদ্যোগে প্রতিবছর ৫ জুন সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।