জাতিসংঘের ইউনোডার ফেলো হল শাবির ইউশা আরাফ
শাবিপ্রবি প্রতিনিধি :
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী ইউশা আরাফ বায়োওয়েপন গবেষণায় ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিসেস ফর ডিজআর্মামেন্ট অ্যাফেয়ার্সের (ইউনোডা) ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সম্প্রতি ২০ জন নির্বাচিত তরুণ গবেষকদের তালিকা প্রকাশ করে ইউনোডা। এতে বিশ্বের ১৭টি দেশ থেকে ২০ তরুণ গবেষককে ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
নিজের অনুভূতি জানিয়ে ইউশা আরাফ বলেন, বায়োওয়েপন গবেষণায় জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন হিসেবে কাজ করে ইউনোডা। এতে চলতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ জন ফেলো নির্বাচিত করা হয়। এ তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি আমি নির্বাচিত হয়েছি।
সে আরও বলেন, সারাবিশ্বে বায়োটেকনোলজি অগ্রগতি নিয়ে অনেক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আগামীর সময়গুলো নিউক্লিয়ার ওয়েপনের চেয়েও বায়োওয়েপন ভয়ংকর রূপ ধারণ করবে। তাই এ বিষয়ে কাজ করার সুযোগ পাওয়ায় আমি অনেক আনন্দিত।
জানা যায়, বিশ্বকে বায়োওয়েপন ও নিউক্লিয়ার ওয়েপন থেকে মুক্ত রেখে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে আসছে ইউনোডা। এতে প্রতি পাঁচ বছর পর পর বায়োওয়েপন নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।
এই কনভেনশনে জৈবিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি, উদ্ভাবনী ও সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এতে অনূর্ধ্ব ৪০ বছরের বিজ্ঞানীদের জন্য মেয়াদি মেয়াদি ‘ইয়ুথ ফর বায়োসিকিউরিটি ফেলোশিপ’ কার্যক্রম পরিচালনা করে সংস্থাটি। এতে বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশ থেকে ৮ শতাধিক বিজ্ঞানী ও গবেষক থেকে ২০ জন ফেলো নির্বাচিত হয়েছেন। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউশা আরাফ ইউনোডার কোনো প্রোগ্রামের ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হন শাবিপ্রবির তরুণ এ গবেষক।
চলতি বছর কানাডা সরকারের সহযোগিতায় ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর বায়োসেফটি অ্যাসোসিয়েশন (আইএফবিএ) ১ বছরের গ্লোবাল মেন্টেরশিপ প্রোগামের জন্য সমগ্র বিশ্ব থেকে ২০ জন তরুণ গবেষক ও বিজ্ঞানীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এখানেও প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নির্বাচিত হন ইউশা আরাফ।