নবীগঞ্জে শ্রমিকদের সংঘর্ষ, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর
দৈনিকসিলেট প্রতিবেদক :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি কিবরিয়া চত্বরে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক ও মাইক্রোবাস শ্রমিকদের মধ্যে ১০ টাকার নোট নিয়ে কেন্দ্র করে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংঘর্ষ চলাকালে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গাড়িতে হামলা এবং বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর করেছে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকরা। এতে ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) বেলা ৩টা থেকে প্রায় বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী ও নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদসহ শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় পুলিশ সুপার সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রোবাস শ্রমিক ও গণ্যমান্য লোকজনদের সাথে কথা বলেন। ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর জন্য এবং সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহবান জানান। প্রয়োজনে আইনি সহায়তারও আশ্বাস দেন তিনি।
জানা যায়, গত ১২ জুন সোমবার সকাল ১১টায় আউশকান্দি মাদ্রাসা স্ট্যান্ডের সিএনজি অটোরিকশা চালক দেবপাড়া ইউনিয়নের নোয়াহাটি গ্রামের মনু মিয়ার পুত্র সিএনজি অটোরিকশার চালক জাবেদ মিয়ার সিএনজি অটোরিকশায় করে একই এলাকার দক্ষিণ দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মুহিত মিয়ার পুত্র আউশকান্দি কিবরিয়া চত্বরের মাইক্রোবাস (নোহা) চালক নোমান মিয়া আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজারে এসে ১৫ টাকা গাড়ি ভাড়া দেন। এ সময় সিএনজি অটোরিকশার চালক জাবেদ বলেন, ১০ টাকার নোট পরিবর্তন করে দেওয়ার জন্য।
নোমান বলে, তার কাছে আর কোন টাকা নেই, এই নোট অচল নয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা দেখা দিলে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। তবে, উশৃঙ্খল শ্রমিক জাবেদ মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন নোমানের প্রতি। সে তার সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ ফরিদের দোকানে এসে বিষয়টি জানালে ফরিদ মিয়া নোমান মিয়াকে তার দোকানের সামনে দেখা মাত্র ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় এবং সংঘর্ষে লিপ্ত হন উভয় পক্ষ।
এ সময় উশৃঙ্খল শ্রমিকরা রহমান সুপার মার্কেটের জেবা রেস্তোরাঁ, ওয়ালটন শো-রোম, রাজু রেস্তোরাঁ, সরকারি ধানকাটার ২টি মেশিন, পিকআপ গাড়িসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার আলাপ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।