কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ উপায়
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মলাশয় ও কলোরেক্টাল রোগে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি করে। এই রোগটি নিরাময় ওষুধ ছাড়াও সম্ভব। নিয়মমাফিক চলাফেরা, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা সহজেই দূর করা যায়। যে খাদ্যসমূহ আপনাকে সাহায্য করতে পারে তাহলো:
শাকসবজি
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে আঁশযুক্ত খাবার খুবই প্রয়োজন। শাকসবজি হলো আঁশের সবচেয়ে ভালো উৎস। বিশেষ করে প্রতিদিন খাবার তালিকায় তাজা মৌসুমি শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। এছাড়া লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, মিষ্টিকুমড়া, ঢ্যাঁড়স খান। খাবার তালিকায় সালাদ রাখুন প্রতি বেলায়। শসা ও কাঁচা পেঁপের সালাদ খুব উপকারী। শসায় ৯৪ শতাংশ পানি থাকে, যা মল নরম করতে সাহায্য করে।
কলা:
কলায় প্রচুর আঁশ রয়েছে।তাই যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা সকালের নাশতায় একটি করে পাকা কলা রাখুন।
আপেল: কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে নিয়মিত খোসাসহ আপেল খান। আপেলের খোসায় পর্যাপ্ত আঁশ রয়েছে, যা মল নরম করে।
নাশপাতি: প্রতিদিন একটি নাশপাতি খেলে আমাদের দৈনন্দিন আঁশের চাহিদা ২২ শতাংশ পূরণ হয়। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
ইসবগুলের ভুসি: ইসবগুলের ভুসি প্রাকৃতিকভাবেই মল নরম করতে, মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে ও সহজে মলত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণ অদ্রবণীয় আঁশ রয়েছে, যা প্রচুর পানি শোষণ করে। সকালে খালি পেটে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ২ চামচ ইসবগুলের ভুসি মিশিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একইভাবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সকালে মলত্যাগে কোনো সমস্যা হয় না। তবে ইসবগুলের ভুসি খেলে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। না হলে ইসবগুলের ভুসি শরীর থেকে পানি শোষণ করে মলত্যাগ আরও কষ্টসাধ্য করে তুলবে।
চিয়া সিড
চিয়া সিড হলো বর্তমানে কোষ্ঠ্যকাঠিন্য দূর করার জনপ্রিয় খাবার। এটি নিয়মিত প্রতিদিন তিনবেলা খালি পেটে খেতে হবে। যা খুবই উপকারী।
টক দই: টক দই প্রোবায়োটিকসম্পন্ন খাবার, যা হজমে সাহায্য করে। এতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই খাবার খাওয়ার পর দুই থেকে তিন চামচ টক দই খাওয়ার চেষ্টা করুন।
এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সারা দিন প্রচুর পানি পান করতে হবে। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
যা খাওয়া যাবে না
* ভাজাপোড়া ও তৈলাক্ত খাবার।
* প্রক্রিয়াজাত খাবার ও হিমায়িত খাবার খাবেন না।
* লাল মাংস।
* ফুল ক্রিম বা পূর্ণ ননিযুক্ত দুধ ও পনির,
সেই সঙ্গে ধূমপান।
মনে রাখতে হবে যারা দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত তারা এবং উল্লিখিত নিয়ম মেনে চলার পরও কোষ্ঠকাঠিন্য যাদের ভালো হয় না, তাদের অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে হবে।