মধ্যনগরে এমবিবিএস ডাক্তার নেই, ফার্মেসিই ভরসা
![](https://dainiksylhet.com/images/icon.jpg)
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
আমরা অসুস্থ হলে কোনো এমবিবিএস ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে পারি না। স্বাধীনতা সংগ্রামের পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে সরকারি এমবিবিএস ডাক্তার না আসার কারণে বিনা চিকিৎসায় অনেক মানুষ মারা যায়। এমবিবিএস ডাক্তার না থাকায় স্থানীয় বিভিন্ন বাজারের ফার্মেসিগুলোতে পল্লীচিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে হয়। এ ছাড়াও অসুস্থ রোগীদের নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অথবা কোনো প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবা দিতে হয়।
এভাবেই চিকিৎসক সংকটের কথা জানাচ্ছিলেন সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মো. চাঁন মিয়া।
জানা যায়, ১৯৭৪ সালে মধ্যনগর সদর ইউনিয়ন, চামরদানী ইউনিয়ন, বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন ও বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন নিয়ে মধ্যনগর থানা গঠিত হয়। থানার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ৪০ কিলোমিটারের বেশি। অপরদিকে উপজেলা সদর থেকে মধ্যনগরের দূরত্ব ২০ কিলোমিটার।
যার ফলে শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশাসনিক সেবা নিতে মানুষের দুর্ভোগ ছিল। সর্বশেষ ২০২১ সালের ২৬ জুলাই নিকারের ১১৭তম সভায় মধ্যনগরকে পরিপূর্ণ উপজেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২২২ বর্গকিলোমিটারের আয়তনের এই উপজেলায় প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। উপজেলা ঘোষণার পূর্বে বিশাল এই জনগোষ্ঠীর কথা চিন্তা করে মধ্যনগরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট দুটি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
কেন্দ্রগুলো হলো মধ্যনগর মা ও শিশু কল্যাণ এবং দাতিয়াপাড়া ফুলেন্নেছা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। দুটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দুজন সরকারি এমবিবিএস ডাক্তার থাকার কথা। তার বিপরীতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য (এমসিএইচ) ইউনিটের অধীনে পরিচালিত এসব কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত মিডওয়াইফ ও নার্সিং অ্যাটেনডেন্টের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারি ও বিনামূল্যে বিভিন্ন রোগের ২৮ ধরনের ওষুধ বিতরণ করা হয়।
ধর্মপাশা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুসতানসির বিল্লাল বলেন, মধ্যনগরে একটি ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অনুমোদন হয়েছিল। সেখানে গত বছর একজন সরকারি এমবিবিএস ডাক্তারের পদায়ন করা হয়েছিল।
হাসপাতালের কোনো অবকাঠামো না থাকার কারণে বর্তমানে সেই এমবিবিএস ডাক্তার ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন।