খাদেম হিসাবে নগর উন্নয়ন করার সুযোগ চাই: আনোযারুজ্জামান চৌধুরী
দৈনিকসিলেটডটকম
আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নির্বাচনী শেষ বক্তব্যে বলেছেন, আমি আপনাদের সন্তান, এই মাটির সন্তান। মানুষের সেবার জন্যই রাজনীতিতে এসেছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নৌকা দিয়ে পাঠিয়েছেন। গত প্রায় একমাসে আমি আপনাদের যে সাড়া পেয়েছি, তা এককথায় অভাবনীয়। আপনাদের ভালোবাসায় আমি ধন্য। বুধবার নির্বাচন। আমি জানি, ঝড় বৃষ্টি বা যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে হলেও আপনারা ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করবেন।
সোমবার (১৯জুন) সন্ধ্যায় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী রেজিস্ট্রারি মাঠে সিসিক নির্বাচনে নৌকার সমর্থনে অনুষ্ঠিত শেষ নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন,আমি আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা চাই। নৌকাকে বিজয়ী করে আমাকে আপনাদের খাদেম হিসাবে কাজ করার সুযোগ চাইছি আমি। আমি আশাবাদী, আপনারা আমাকে বঞ্চিত করবেন না।
তিনি দীর্ঘ প্রচারনায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ আমার নির্বাচনী প্রচারনায় যারাই ছিলেন, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার যারা করেছেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ।বলেছেন, তিনি বলেন এই সিলেটের মাটি নৌকার ঘাঁটি। এই মহানগরীর উন্নয়নের জন্য আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মতো সৎ যোগ্য ও কর্মঠ মানুষের প্রয়োজন। সিলেট নগরবাসীর উন্নয়নে, জলাবদ্ধতা মশাসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে যত কোটি টাকার প্রয়োজন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সরকারের কাছ থেকে তা আদায় করতে সক্ষম। কারণ, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ স্নেহের পাত্র। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, হযরত শাহজালাল ও শাহপরাণের (র.) স্মৃতিধন্য এই আধ্যাত্মিক নগরীর মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে শেখ হাসিানর সাথে আছেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সাথে আছেন।
তিনি সিলেট সিটি করপোরেশনের সর্বস্থরের জনসাধারণ ঝড় বৃষ্টি বা যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগেও বুধবার ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য রাখেন ,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন,শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল,সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডন,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড,মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ,জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী,মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন,যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক,জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহ ফরিদ, আশফাক আহমদ,
নিজাম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগে সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী,ফয়জুল আনোযার আলাউর,অ্যাড. শাহ মোশাহিদ আলী।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন,তাতী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, খগেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ,ইঞ্জিয়ার শওকত আলী,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. খালেদ শওকত আলী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএস জাকির,জেলা কৃষকলীগের সভিপতি অধ্যাপক সামসুল ইসলাম জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ শামীম রশিদ চৌধুরী,মহানগর শ্রমীক লীগের সভাপতি এস শাহরিয়ার কবির সেলিম, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গীরদার,জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ,মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইম আহমদসহ, জেলা মহানগর, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।