সিসিক নির্বাচনে সারা দিনই বৃষ্টির আশঙ্কা
দৈনিকসিলেটডেস্ক
মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সারা দেশে বেড়েছে বৃষ্টিপাত। সিলেট অঞ্চলেও কয়েক দিন ধরেই হচ্ছে টানা বৃষ্টি। অথচ রাত পোহালেই সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। আবহাওয়া অফিস বলছে, নির্বাচনের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকবে টানা বৃষ্টি। যাতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে ভোটগ্রহণে।
মঙ্গলবার (২০ জুন) সরেজমিন সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী পোস্টার ছিঁড়ে গেছে। রাস্তাঘাটে নেই নির্বাচনী আবহ। সাধারণ মানুষ খুব একটা ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
আবহাওয়ার খবর বলছে, বুধবার (২১ জুন) সারা দিনই বৃষ্টি হবে। সকাল ৭টা থেকেই শুরু হতে পারে বৃষ্টি। এতে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
সহকারী আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা জানান, বুধবার (২১ জুন) সিলেট শহরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকি সন্ধ্যার পরও বৃষ্টি হতে পারে। এমন আবহাওয়া আরও পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।
নির্বাচনে বৃষ্টির প্রভাব পড়তে পারে কি না, জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেন, ‘বৃষ্টি হলে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে কিছুটা শঙ্কা রয়েছে। তবে নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু করতে কমিশন থেকে সব রকম প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।’
সোমবার (১৯ জুন) রাতে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান এক লিখিত বক্তব্যে জানান, ইভিএমে ভোট গ্রহণে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের কথা মাথায় রেখে ইভিএমের ব্যাটারি, চার্জার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতিতেও যেন ত্রুটি না থাকে, সে বিষয়ে কারিগরি দল সক্রিয় থাকবে।
নির্বাচনের আগের দিন (মঙ্গলবার) নির্বাচনী এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা গেলেও সিলেটে বিরাজ করছে ভিন্ন চিত্র। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে প্রার্থীসহ ভোটারদের মধ্যে নেই কোনো উৎসবের আমেজ।
স্থানীয় বাসিন্দা হাফিজুল হক বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় বৃষ্টি হচ্ছে এখানে। যে জন্য নির্বাচনী আমেজে ভাটা পড়েছে। বৃষ্টির জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কয়েক দিন ধরেই এমন অবস্থা।’
আরেক বাসিন্দা আরিফুজ্জামান বলেন, ‘এবার নির্বাচী হাওয়া বৃষ্টির হাওয়ার কাছে ম্লান হয়ে গেছে। বৃষ্টিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। তাই নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এখন দেখার বিষয় বৃষ্টির কারণে নির্বাচনের কাজটা ঠিকমতো হয় কি না।’
সিলেট সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ডসংখ্যা ৪২টি। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই মহানগরীতে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন, আর নারী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৬ জন। সিসিক নির্বাচনে মোটকেন্দ্র ১৯০টি, যেখানে স্থায়ী ভোটকক্ষ থাকবে ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী থাকবে ৯৫টি।
নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন আটজন। কাউন্সিলর পদে ৩৬০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।