মদিনাকে অসম্মানকারীদের কঠোর পরিণতি
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা :
অসংখ্য আয়াত ও হাদিস দ্বারা মদিনা নগরীর সম্মান ও মর্যাদা প্রমাণিত, যা রক্ষা করা প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য। কেউ যদি মদিনা নগরীর সম্মান রক্ষা না করে, তার ব্যাপারেও আছে ভয়াবহ হুঁশিয়ারি। হাদিসে বর্ণিত এমন কয়েকটি হুঁশিয়ারি তুলে ধরা হলো।
১. সংরক্ষিত অঞ্চল : মদিনা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল কর্তৃক সংরক্ষিত।
তাই এখানে মানুষ সংযত হয়ে চলবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মদিনা এখান থেকে ওখান পর্যন্ত হারাম (রূপে গণ্য)। সুতরাং তার গাছ কাটা যাবে না এবং এখানে কোনো ধরনের অঘটন ঘটানো যাবে না। যদি এখানে কোনো অঘটন ঘটায় তাহলে তার প্রতি আল্লাহ, ফেরেশতা ও সব মানুষের অভিশাপ।
’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৬৭)
২. আমল নিষ্ফল হবে : মদিনায় গিয়ে কেউ পাপে লিপ্ত হলে তার আমল নষ্ট হওয়ার হুঁশিয়ারি রয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মদিনায় কোনো পাপ করে অথবা পাপাচারী আশ্রয় দেয়, তার ওপর আল্লাহ, ফেরেশতারা ও সব মানুষের অভিশাপ পড়বে। কিয়ামতের দিন তার কাছ থেকে আল্লাহ কোনো ইবাদত ও দান গ্রহণ করবেন না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৭০)
৩. আল্লাহ নিশ্চিহ্ন করবেন : কেউ মদিনাবাসীকে কষ্ট দিলে আল্লাহ তাকে ধ্বংস করবেন।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এ নগরীর অধিবাসীদের কোনো ক্ষতি সাধন করতে চায়, আল্লাহ তাকে মিশিয়ে দেবেন (নিশ্চিহ্ন করে দেবেন) যেভাবে লবণ পানির মধ্যে মিশে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৩৪২৪)
৪. পাপীদের ঠাঁই নেই : মদিনায় কোনো পাপী ব্যক্তি আশ্রয় নিতে পারবে না। কেননা রাসুলে আকরাম (সা.) বলেছেন, ‘আমি এমন এক জনপদে হিজরত করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি, যে জনপদ অন্য সব জনপদের ওপর জয়ী হবে। লোকেরা তাকে ইয়াসরিব বলে থাকে। এটা হলো মদিনা।
তা অবাঞ্ছিত লোকদের এমনভাবে বহিষ্কার করে দেয়, যেমনভাবে কামারের অগ্নিচুলা লোহার মরিচা দূর করে দেয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৭১)
৫. ষড়যন্ত্র করলে নিজেই ধ্বংস হবে : মদিনাবাসীর বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করলে ব্যক্তি নিজেই ধ্বংস হবে। সাদ (রা.) বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি যে কেউ মদিনাবাসীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করবে বা প্রতারণা করবে, সে লবণ যেভাবে পানিতে গলে যায়, সেভাবে গলে যাবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৮৭৭)
আল্লাহ সবাইকে মদিনার সম্মান রক্ষার তাওফিক দিন। আমিন