গুয়াহাটি হাইকমিশনের সহযোগিতায় বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত
সাইদুল ইসলাম গোয়াইনঘাট থেকে :
আসামের গুয়াহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার ও মিশন প্রধান মি, রুহুল আমিন ও হাই কমিশন কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় দীর্ঘ ১ বছর ভারতের আসাম সেন্ট্রাল জেল হাজতে বন্ধি থাকার পর তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে এক বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
গত ২২ জুন বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তামাবিল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রশন দিয়ে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানো হয়।
জানাগেছে, ভারতের আসাম জেলহাজতে আটকা থাকা বাংলাদেশী নাগরিক হাফিজ সাব্বির আহমেদ (৭০), পিতা জহির আহমেদ, গ্রাম মোগলতলি, থানা সদর, কুমিল্লা।
তিনি বিগত ২০২২ সালের ৭ জুলাই কুমিল্লাহ’র আাখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি’তে অবস্থান কালীন সময়ে পাসপোর্ট হারিয়ে ফেলেন। একারনে আসাম পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করে।
বাংলাদেশী নাগরিক ভারতীয় জেলে থাকার বিষয়’টি গুয়াহাটি সহকারী হাই কমিশন ও মিশন প্রধান মি.রুহুল আমিন সহ কর্মকর্তাদের নজরে আসলে হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ জেলখানায় গিয়ে তাকে ট্রাভেল পারমিট পাশ প্রদান করেন।
ভারতীয় প্রশাসনিক যাবতীয় কাজ শেষ করে গুয়াহাটি হাই কমিশনের প্রোটোকল অফিসার আজহারুল আলম, গণসংযোগ কর্মকতা ফেরদৌস সরকার তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট দিয়ে তাকে বাংলাদেশ নিয়ে আসেন। তামাবিল স্থলবন্দের তাকে গ্রহন করেন তামাবিল ইমিগ্রশন পুলিশের (ইনচার্জ) এসআই রুনু মিয়া, সানাউল হক রমজান, তামাবিল বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার আরিফ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তামাবিল চুনা পাথর, পাথর ও কয়লা আমদানীকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি মো: জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সিলেট চেম্বার পরিচালক সরোয়ার হোসেন (ছেদু), সদস্য জাকির হোসেন (আর্মি) এবং পরিবারের পক্ষে তার ছেলে হাসান কবির সিদ্দিকী মুন্না উপস্থিত ছিলেন। দীর্ঘদিন পর পিতা-কে কাছে পেয়ে তিনি গুয়াহাটি সহকারী হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।