কুলাউড়ায় রাস্তা সংস্কারের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁওয়ে রাস্তার কাজ না করিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দকৃত গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ টন গমের সমপরিমাণ অর্থ কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরগাঁও গ্রামের প্রধান রাস্তা মাটি ভরাটের জন্য অনুদান আসে।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক ফজলু উত্তর কাজিরগাঁও জামে মসজিদের সামনে থেকে দক্ষিণ কাজিরগাঁও ইটসলিং পর্যন্ত রাস্তায় আনুমানিক ২০ হাজার টাকা খরচে নামমাত্র মাটি ভরাট করে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ এনেছেন কাজিরগাঁও গ্রামের ক্ষুব্ধ জনগণ।
গত ২০ জুন বিষয়টি তদন্তে এবং ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক ফজলুর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টিলাগাঁও ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরগাঁও গ্রামের একমাত্র প্রধান সড়কটি অনেকদিন ধরেই অযত্নে পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী। শিক্ষার্থীদের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
উত্তর কাজিরগাঁও জামে মসজিদের সামনে থেকে দক্ষিণ কাজিরগাঁও ইটসলিং পর্যন্ত মাটি ভরাটের জন্য ৬ টন গম বরাদ্দ আছে, যার বাজারমূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। বরাদ্দের প্রথম কিস্তির তিন টন গম উত্তোলন করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রকল্প কমিটির সভাপতি আব্দুল
মালিক ফজলু সাড়ে চার হাজার মাটি ভরাটের কাজ করান, যার খরচ প্রায় বিশ হাজার টাকা। মাসখানেক থেকে বাকি কাজ না করায় বর্তমানে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় চার থেকে পাঁচ ট্রলি ইটের টুকরো ফেলে আর কাজ করাচ্ছেন না।
অভিযোগকারী ও স্থানীয় বাসিন্দা শামসুল ইসলাম, আব্দুল কাদির, বদরুল ইসলাম, ছাবিদ মিয়াসহ আরও কয়েকজন ব্যক্তি জানান, ইউপি সদস্য গ্রামের রাস্তার উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ পেলেও কাজ সঠিকভাবে না করিয়ে অর্থ আত্মসাতের পাঁয়তারা করছেন। সামান্য অংশে মাটি ফেলেছেন মাত্র। বাকি কাজ সম্পন্ন করার তাগদা দিয়েও লাভ হচ্ছে না। কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকা কি তোদের নাকি?’ এই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এর আগেও উন্নয়ন প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শিমুল আলী জানান, প্রকল্পের অর্ধেক টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কাজ সম্পন্ন না করলে বরাদ্দকৃত বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান খোন্দকার জানান, স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইউপি সদস্যকে কাজ সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আব্দুল মালিক ফজলু বলেন, ‘বরাদ্দের অর্ধেক টাকা দিয়ে আটত্রিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকার কাজ করিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা।’ সুত্র: সমকাল