শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে কি না বুঝবেন যে লক্ষণে
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
সুস্থ থাকতে প্রতিদিনের ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট থাকা যেমন জরুরি, তেমনই পর্যাপ্ত মাত্রায় ভিটামিন, মিনারেলও রাখতে হবে। আর এই মিনারেলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ক্যালসিয়াম। হাড় ও দাঁতের সুস্থতায় পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম গ্রহণের বিকল্প নেই।
তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। এ কারণে সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে গুরুতর কিছু লক্ষণ দেখা দেয়। জেনে নিন কোন কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন ক্যালসিয়ামের ঘাটতি আছে-
পেশী ব্যথা
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে পেশী ব্যথা, ক্র্যাম্প ও খিঁচুনির সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে হাঁটাহাঁটি বা নড়াচড়া করার সময় উরু ও বাহুতে ব্যথা ছাড়াও হাত, বাহু, পা ও মুখের চারপাশে অসাড়তাও অনুভব হতে পারে। এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
প্রচণ্ড ক্লান্তি, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরা
প্রচণ্ড ক্লান্তিও শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতির আরেকটি অন্যতম লক্ষণ। আলস্য বোধ হতে পারে সব কাজেই। এর প্রভাবে অনিদ্রার সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
এছাড়া হালকা মাথাব্যথা, মাথা ঘোরার পাশাপশি ব্রেইন ফগ হতে পারে। ব্রেইন ফগের কারণে মনোযোগের অভাব, ভুলে যাওয়া ও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে।
ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে
শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে। নখ ভঙ্গুর, চুল মোটা, অ্যাকজিমা, ত্বকের প্রদাহ, ত্বকের চুলকানি ও সোরিয়াসিসের মতো সমস্যা হতে পারে।
হাড় ভঙ্গুর হয়ে ওঠে
কারও শরীরে ক্যালসিয়ামের সামগ্রিক মাত্রা কমে গেলে, হাড় থেকে ক্যালসিয়াম শুষে নেয় শরীর। এ কারণে হাড় ভঙ্গুর হয়ে ওঠে। অস্টিয়োপোরেসিস রোগ বাসা বাঁধে শরীরে।
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন
শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা কমে গেলে হৃৎপিণ্ডের পেশী সঠিকভাবে কাজ করে না। হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলো এক্ষেত্রে সংকুচিত হয়ে যায় ও হৃদস্পন্দনের সঙ্গে তাল মেলাতে পারে না।
ফলে অস্বাভাবিক হৃদযন্ত্রের ছন্দ বা অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের সৃষ্টি করে। এটি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে শরীরে ক্যালসিয়ামের মাত্রা অত্যধিক কমে গেলে।
মাড়িতে জ্বালাপোড়া ও দাঁতে শিরশিরানি
দাঁতের সুস্থতাও নির্ভর করে ক্যালসিয়ামের উপর। শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ খনিজের অভাব হলে দাঁত ক্ষয় হয়ে যাওয়ার লক্ষণ দেখা দেয়। তাছাড়া এটি গোড়ায় জ্বালাপোড়া ও শিরশিরেভাবও দেখা দেয়।
এসব লক্ষণ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। এর পাশাপাশি খাদ্যতালিকাতেও রাখতে হবে ক্যালসিয়ামজাতীয় খাবার। সূত্র: হেলথশটস