কুয়েতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট
জিসান মাহমুদ, কুয়েত থেকে :
ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি, এরই মাঝে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। কুয়েতি নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও কিনতে শুরু করেছে পছন্দের পশু। কেউ দুম্বা কেউ গরু কেউবা ছাগল কিনছেন। তবে দুম্বার চাহিদা সবচাইতে বেশি এখানে।
কুয়েতের সরকারি কয়েকটি জায়গায় পশুর হাট মিললেও সেবদি এলাকা তার মধ্যে অন্যতম। দুরদূরান্ত থেকে প্রবাসীরা ছুটে আসেন এই স্থান থেকে কোরবানির পশু নিতে। এখানে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা গরু এবং ছাগল। তবে সেটা তুলনামূলক অনেক কম। এখানকার পশুগুলোর মালিক কুয়েতি হলেও দেখাশোনা করেন বাংলাদেশিরা।
কয়েকজন বাংলাদেশির সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার কোরবানির পশুর দাম কিছুটা বেশি। তাই ক্রেতার সংখ্যা এখনো কম। তবে ঈদের আগের দিন এটা খুব জমজমাট হয়ে উঠবে। বেশিরভাগ প্রবাসী এবং নাগরিকরা ঈদের আগের দিন পশু নিয়ে যায়।
তারা জানান, যেহেতু বাংলাদেশের মতো যেখানে সেখানে পশু রাখার অনুমতি নেই কুয়েতে। তাই সবাই চেষ্টা করে ঈদের আগের দিন বিকেলে কিংবা ঈদের দিন সকালে পশু নিয়ে যেতে। অনেকে আবার ৪/৫ দিন আগে কিনলেও এখানকার খামারে রেখে যায়। কেউবা ঈদের নামাজ পড়ে এখানেই জবাই করে কোরবানির পশু।
এদেশে উটের দাম গরুর চেয়েও কম। যা দুইশো থেকে তিনশো দিনারে পাওয়া যায়। অন্যদিকে গরুর দামটা একটু বেশি। যা তিনশো থেকে পাঁচশো দিনার হয়ে থাকে। দুম্বা পাওয়া যাচ্ছে পঞ্চাশ থেকে দেড়শো দিনারের মধ্যে। প্রবাসীরা পরিবার ছাড়া কোরবানি করলেও অনেকে বন্ধু, সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন কিংবা রুমমেটদের নিয়ে পশু জাবাই করে থাকে ঈদের দিন।