‘ঈদ যাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে’
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
ঈদ যাত্রায় সড়ক ও নৌপথের বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। অনতিবিলম্বে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, বিআরটিএ, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি করছে তারা।
আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান। তিনি বলেন, এবারের ঈদে যানজট ও জনজট নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রশংসনীয় তৎপরতা লক্ষ করা গেলেও ঈদ যাত্রায় বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে।
ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের পথে বিভিন্ন রুটে গতকাল থেকে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছিল।
তিনি আরো বলেন, আজ সকাল থেকে এই ভাড়া আরো বাড়তি আদায় করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম থেকে ভোলা, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালীসহ উত্তরবঙ্গের পথে যাত্রীপ্রতি দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ঢাকা থেকে ফেনীর যাত্রীদের চট্টগ্রামের ভাড়া, ঢাকা থেকে সাতকানিয়া বা আমিরাবাদের যাত্রীদের কক্সবাজারের ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
ঠিক তেমনি ঢাকা থেকে বগুড়ার যাত্রীদের যশোরের ভাড়া বা সাতক্ষীরার ভাড়া গুনতে হচ্ছে। এভাবে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীদের বেশি দূরত্বের ভাড়া গুনতে হচ্ছে। নৌপথেও এমন কূটকৌশলের ফাঁদে ফেলে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এমন জুলুম চললেও ভাড়া নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
তিনি ঈদ যাত্রায় যাত্রীসাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে বিআরটিএ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা বাড়ানোর দাবি জানান।
ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনো টিকিট অব্যবস্থাপনা, টিকিট কালোবাজারী, অপরিকল্পিত যানবাহন ব্যবস্থাপনাসহ নানা ক্ষেত্রে ঈদ ব্যবস্থাপনায় গলদ থাকায় যাত্রীরা পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেন সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসব ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধে বিআরটিএ ও বিআইডাব্লিউটিএর পক্ষ থেকে প্রতিবছর ঈদে গতানুগতিক পদ্ধতিতে ভিজিল্যান্স টিম বা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হলেও প্রকৃতপক্ষে কোথাও তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এমন ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধের পাশাপাশি ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ চলাচল বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।