শাল্লায় বাজারে ঘর নির্মাণ নিয়ে সংঘর্ষে নিহত ২
দৈনিকসিলেটডেস্ক
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ৪ নং শাল্লা ইউনিয়নের সাতপাড়া বাজারে ঘর তৈরি করা নিয়ে দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষে ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বেলা ১১ টার এই সংঘর্ষ শুরু হয়। খরব পেয়ে শাল্লা থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
জানা যায়, সাতপাড়া বাজার সংলগ্ন জায়গায় কার্তিকপুরের নিকসন মিয়া একটা ঘর তৈরি করার সময় বাঁধা দেন একই গ্রামের মুজিবুর রহমান। নিকসন মিয়া দাবি করেন- খাস জায়গায় ঘর তৈরি করা হচ্ছে। অপরদিকে, মুজিবুর রহমান বলেন- এটি তার নামে রেকর্ডকৃত জায়গা। এ নিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে বুকের মধ্যে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাবিবুর রহমান নামের একজনের মৃত্যু হয়। তিনি মুজিবুর রহমানের চাচা ও ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য।
অন্যদিকে, ইউসুফ আলী গ্রুপের হেলাল মিয়া নামে আরেকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পথে হেলাল মিয়ার মৃত্যু হয়। তিনি ইউসুফ আলীর চাচাতো ভাই।
সংঘর্ষ চলাকালে শাল্লা থানার সাব-ইন্সপেক্টর আলীম উদ্দিন আহত হন। পরে তাকে শাল্লা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে প্রেরণ করা হয়।
এ বিষয়ে ১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য আমীর হামজা বলেন, সাতপাড়া বাজার সংলগ্ন একটি জায়গায় ঘর তৈরি নিয়ে কার্তিকপুরের মুজিবুর রহমান ও নিকসন মিয়া গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান নিহত হন। এতে পুলিশসহ দুই পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে ৪নং শাল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার বলেন, এই সংঘর্ষে হাবিবুর রহমান নামে কার্তিকপুরের সাবেক মেম্বার মারা যান। তবে হেলাল মিয়ার মৃত্যুর খবরও লোকমুখে শুনেছি।
এ বিষয়ে শাল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান নামে একজন নিহত হয়েছে। আমাদের থানার এসআই আলীম উদ্দিন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।