ডায়েট মানেই অনেক খরচ? সস্তা খাবার খেয়েও শুকানো যায়
দৈনিকসিলেটডেস্ক
অনেকের ধারণা থাকে পুষ্টিবিদদের কাছে যাওয়া মানেই হরেক রকম দামি দামি খাবার, ফল রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। পকেটে টান পড়ার ভয়েও অনেকে পুষ্টিবিদদের কাছে যেতে চান না। কিন্তু তাঁদের ধারণা কি ঠিক?
বাড়তি ওজনের কারণে হাজারটা রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। অনেকেই আছেন, যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডায়েট শুরু করেছেন। ডায়েট করার সময় অনেকে পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে করেন, অনেকে আবার নেটমাধ্যমে দেখে কিংবা চেনা- পরিচিত কাউকে অনুসরণ করে ডায়েট করতে শুরু করেন।
ডায়েট করার সময়ে কিন্তু এই ভুলটা করলেই মুশকিল। এক এক জনের শরীরের গঠন এক এক রকম, চাহিদাও এক এক প্রকার। আপনার শরীরের ওজন কত, আপনার উচ্চতা কত আপনার কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, কোনও ক্রনিক অসুখ আছে কি না— সবটা বিচার করে ডায়েট চার্ট তৈরি করেন পুষ্টিবিদেরা। তাই তাঁদের সাহায্য ছাড়া ডায়েট করলে আখেরে কিন্তু শরীরের ক্ষতিই হবে।
অনেকের ধারণা থাকে পুষ্টিবিদদের কাছে যাওয়া মানেই হরেক রকম দামি দামি খাবার, ফল রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। পকেটে টান পড়ার ভয়েও অনেকে পুষ্টিবিদদের কাছে যেতে চান না।
কিন্তু বিষয়টি মোটেও তেমন নয়। সাধারণ বাড়িতে যা খাবার খাওয়া হয় সেই ভাত, ডাল, মাছ খেয়েও কিন্তু ডায়েট করা যায়। তবে কতটা খাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন আর কী ভাবে খাচ্ছেন সেটা নজরে রাখতে হবে। ক্যালোরি মেপে খাওয়াটাই ডায়েটের মূল মন্ত্র। এ ক্ষেত্রে বাইরের খাওয়াদাওয়া বন্ধ রেখে বাড়িতে বানানো খাবার খেলেই কিন্তু অনেকটা কাজ হয়ে যায়।
সাদা ভাত নয়, ডায়েট করছি মনেই ব্রাউন রাইস খেতে হবে— এমনটা কিন্তু নয়। ব্রাউন রাইস শরীরের পক্ষে বেশি ভাল, তবে সাদা ভাত খেয়েও ওজন ঝরানো যায়। মেপে খেলেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
যাঁদের ওজন অনেকটা বেড়ে যায়, তাঁদের মাঝেমাঝে ভাত খাওয়া কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখতে বলা হয় বটে, তবে ব্রাউন রাইস না খেলে ওজন কমবে না, এমনটা নয়। ডায়েটের সময়ে প্রাতরাশে কী খাচ্ছেন, সেটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। প্রাতরাশ এমন হওয়া উচিত, যার মধ্যে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট, ভিটামিন, মিনারেল সবটা থাকবে।
প্রতিদিনের ডায়েটে নিচের পাঁচ খাবার রাখা যেতে পারে।
ফল: সুস্থ থাকতে রোজ একটা হলেও ফল খেতেই হবে। বেশি খেতে পারলে আরও ভাল। মৌসুমে যা ফল পাওয়া যাচ্ছে, তা-ই খান। ওজন ঝরানোর জন্য কিউয়ি, অ্যাভোকাডোই খেতে হবে, এমনটা কিন্তু নয়। বাজারে সস্তায় যে ফল পাওয়া যাচ্ছে সে সব ফলই ডায়েটে রাখুন।
ডিম: রোজ ডিম খেতে পারেন। তবে রোজ ক’টা করে ডিম খেতে পারেন, ডিমের হলুদটা খেতে পারেন কি না— সেটা পুষ্টিবিদের কাছ থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।
দুধ: সুস্থ থাকতে রোজ নিয়ম করে দুধ খেতে হবে। দুধের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার কমই আছে। তাই অ্যালার্জি না থাকলে রোজ অবশ্যই খাদ্যতালিকায় দুধ রাখুন।
রুটি কিংবা ভাত: আমাদের খাদ্যতালিকা থেকে ভাত-রুটি একেবারে বাদ দিয়ে দিলে কিন্তু মুশকিল। ডায়েট করা মানেই ভাত-রুটি বন্ধ নয়। পরিমিত মাত্রায় ভাত কিংবা রুটি খাওয়া যেতে পারে।
পানি: শরীর সুস্থ রাখতে বেশি করে পানি খেতে হবে। পুষ্টিকর খাবার খেলেন অথচ শরীরে পানির ঘাটতি হল, সেটা করলে কিন্তু কোনও লাভ হবে না। তাই সারা দিন বেশি করে পানি খান।
সূত্র: আনন্দবাজার