সিদ্দিকুর রহমানকে পূনঃবহালের দাবিতে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানকে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অনতিবিলম্বে পূনঃবহালের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বিকেল ৪টায় বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচি আয়োজনে সাবেক ছাত্র সামায়ুন রাশেদের পরিচালনায় ডাঃ নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন,বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এডভোকেট ফয়সল আবেদিন সেনা,উপজেলা যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক সামায়ুন কবির,বালিজুরী ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া,শ্রমিক নেতা মোঃ ফেরদৌস আলম,সাবেক মেম্বার ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিলন তালুকদার,সাবেক মেম্বার ফারুক আহমেদ, গুলেনুর খাঁ,বাদল মিয়া,জিল্লুর রহমান,কামরুল ইসলাম,বালিজুরী ইউপি যুবলীগ সভাপতি জিয়া উদ্দিন,কাউসার বক্স তালুকদার,ছয়ফুল আলম,সাকায়াত হোসেন,সাইদুল ইসলাম,সুহেল আহমেদ,সুহেল আলম,সোহেল আহমদ সাজু প্রমুখ।
এসময় বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স উচ্চ বিদ্যায়লের সাবেক শিক্ষার্থী,এলাকার সচেতন মহল ও গন্যমান্য ব্যক্তিগনসহ পাচঁশতাধিক মানুষ মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করে একাত্মা পোষণ করেন। মানববন্ধনে বক্তব্য গন বলেন, ছিদ্দিকুর রহমান বালিজুরী হাজী এলাহী বক্স হাই স্কুলে ১৮ বছর প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ২০১৭ সালে জোরপূর্বক পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে তাঁকে চাকুরীচুত করা হয়। চাকুরিচ্যুত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিগত ০৪/০২/২০১৮ ও ০১/০৮/২০১৮ তারিখে ১০ দিনের মধ্যে ছিদ্দিকুর রহমানকে স্বপদে পুনঃর্বহালের ২টি আদেশ দেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট। কমিটি সেই আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানির শেষে আদালত বোর্ডের আদেশের পক্ষে রায় দেন। . কমিটির পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আবেদন করলে গত ২৩ জুন, ২০২৩ খ্রি. সভাপতির আবেদনটি খারিজ করে দেন মহামান্য হাইকোর্ট। এর মধ্যে বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে একটা মধ্যস্থতার পরিবেশ তৈরি হয়। ইতোপূর্বে কমিটির দেওয়া একটি নিয়োগকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালতে মামলা করেছিলেন প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান।
সভাপতি ঐ মামলাটি তুলে নিলে পদ হাইকোর্টের আদেশ মেনে নিবেন বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানান। প্রধান শিক্ষক এই প্রস্তাবে রাজি না থাকলেও মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ প্রস্তাবে সম্মত হন এবং মামলাটি তুলে নেন। এদিকে মামলা তুলে নেওয়ার পরই সভাপতি তার কথার বরখেলাপ করেন এবং মধ্যস্থতাকারীদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার জজ আদালতে আপিল করেন। মহামান্য আদালত গত ২৬ জুন সভাপতির আপিল আবেদনে নো অর্ডার দেন। সভাপতি ও কমিটির এহেন আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এলাকাবাসী। এদিকে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র কর্তৃক ছিদ্দিকুর রহমানকে স্কুল ছাড়া করার পায়তারা বন্ধ করে আগামী ২ জুলাই প্রধান শিক্ষকের পদ ফিরিয়ে না দিলে ৯ জুলাই থেকে প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচীর ঘোষণাসহ কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ার করা সহ যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার জন্য ম্যানেজিং কমিটির দায়ী থাকবেন বলে জানান উপস্থিত বক্তাগন।