আপনার ‘মুদ্রাদোষ’ কোনটি?
দৈনিকসিলেটডেস্ক
ব্যক্তি বিশেষের নিজস্ব মুদ্রা, চিহ্ন বা অঙ্গিভঙ্গি থাকে। ব্যক্তির মতো এসব বিষয়ও অনেকটা অদ্বিতীয়। সবার কথা বা বাচনভঙ্গি এক নয়। প্রত্যেকে একটি নিজস্ব মুদ্রা বা আঙ্গিকে আচরণ করে। তা হাতের, মুখের, চোখের বা শরীরের কিংবা স্বরবিস্তার, অঙ্গপরিচালনা- অথবা অন্য কোনোভাবে হতে পারে। এ সব মুদ্রার অতি ব্যবহার কিংবা যে ব্যবহার অন্যের কাছে হাস্যকর বা দূষণীয় মনে হয় তাই মুদ্রাদোষ হিসেবে চিহ্নিত হয়। অর্থাৎ কোন ব্যক্তির কোনো এক বা একাধিক মুদ্রা অন্যের কাছে দূষনীয় বা দোষের মনে হলে তা মুদ্রাদোষ হয়ে যা।
অল্পকথায়, ব্যক্তিবিশেষের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি, বাচনভঙ্গি, আচরণ, চালচলন কিংবা স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যের দৃষ্টি বা শ্রুতিকটুকর পুনরাবৃ্ত্তি বা বহিঃপ্রকাশকে মুদ্রাদোষ বলা হয়।
প্রায় সব মানুষেরই কিছু না কিছু মুদ্রাদোষ আছে। রোজকার কথা বলা, হাঁটা-চলায় অস্বাভাবিকতা অনেকেরই প্রকাশ পায়। সে না বুঝলেও অন্যের চোখে ধরা পড়ে। কারও কারও ক্ষেত্রে এসব মুদ্রাদোষ এতটাই প্রবল হয়ে উঠে যে, একসময় মানসিক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
যেমন- টেবিলে কলম/ পেন্সিল ঠোকা বা মুখে দেয়া।
– কোনোকিছু ফুটবলের মতো লাথি দিয়ে ছোড়া। (শারীরিক অসুবিধা না থাকলে) পা দিয়ে চেয়ার, মোড়া, পিঁড়ি সরানো বা কোনোকিছু দেখিয়ে দেয়া।
– চেয়ার দোলানো/ চেয়ারে বসে পা নাচানো অথবা ঝাঁকানো।
– চাবি, কাঁচি বা কোনোকিছু অকারণে সঞ্চালন করে শব্দ সৃষ্টি করা।
– যেখানে-সেখানে হাত দিয়ে ‘তবলা’ বাজানোর মতো শব্দ করা।
– খাওয়ার পর চুক চুক শব্দ করা। শব্দ করে চা পান করা।
– আঙুল ফোটানো/ দাঁত দিয়ে নখ কাটা।
– জিভ দিয়ে ঠোঁট ভেজানো। হাত/ দাঁত দিয়ে ঠোঁটের চামড়া খোঁচানো।
– কারো গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা।
– কথা বলার সময় হাত এদিক-ওদিক নাড়ানো।
– অকারণে নাকে-মুখে আঙুল ঢোকানো।
– অকারণে নাক টানা বা কাশি দেয়া।
– থুতু লাগিয়ে বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টানো/ টাকা গোনা।
ভালো খবর হলো, এসবেরও চিকিৎসা আছে। তবে সচেতন হতে হবে শুরুতেই।