জগন্নাথপুরে তলিয়ে গেছে সেতু, আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ পরিবার
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ওপর গুদামের সামনের বিকল্প সেতুটি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এ সেতু দিয়ে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে নলজুর নদীর অপর ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু দিয়ে যানচলাচলে চাপ বেড়েছে। ভোগান্তি বেড়েছে উপজেলাবাসীর।
এদিকে গত ৫দিনের টানা বৃষ্টিপাতে কুশিয়ারা, নলজুর, মাগুরা নদীর পানি বাড়ায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল থেকে উপজেলায় দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১১ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। এরমধ্যে চিলাউড়া উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে ৭ পরিবার ও উপজেলা সদরের আবদুস সামাদ আজাদ অডিটোরিয়ামে ৪ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের গুদামের সামনের পুরাতন সেতু ভেঙে স্হানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তররের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন দৃষ্টি নন্দন আর্চ নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় ওই সেতুর পাশে একটি বিকল্প বেইলি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। গত ২৬ মার্চ পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান নতুন সেতুর কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন করলে, বিকল্প বেইলি সেতু দিয়ে যানচলাচল শুরু হয়। গত ৫ দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বাড়ায় সেতুর সংযোগ সড়ক ডুবে যায়। এদিকে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সেতুটি পানিদে তলিয়ে যায়। ফলে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে ঝুঁকিপূর্ণ ডাকবাংলো সেতু দিয়ে যানচলাচলে চাপ বেড়েছে। ফলে সেতুর উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলাবাসী।
জগন্নাথপুর উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদির আহমদ মুক্তা বলেন, নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করার আগেই বিকল্প সড়কের সেতুটি পানিতে ডুবে গেছে। যানচলাচল বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এর দায় কার? দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ভাসমান সেতুকে উঁচু করে পানি প্রবাহ নিশ্চিত না করলে বড় ধরণের দুর্ঘটনার ঘটতে পারে।
উপজেলা স্কাউট কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রিপন বলেন, প্রতিদিন উপজেলার লোকজনকে নলজুর নদের এ দুটি সেতু ব্যবহার করতে হয়। বর্তমানে দুটি সেতুই ঝুঁকিতে রয়েছে। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে গুদামের সামনের বিকল্প সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ডাকবাংলো সেতুটি অতিরিক্ত যান বাহনের চাপ ও কচুরিপানার স্তুপের চাপে ঝুঁকিতে রয়েছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় বিকল্প বেইলি সেতু তলিয়ে গেছে। অপরদিকে ডাকবাংলো সেতুর ঝুঁকি কমাতে জরুরি সভা করে প্রয়োজনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম বলেন, দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে ১১ পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। শহরের দুটি সেতু নিয়ে সবাই চিন্তিত। অচিরেই প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।