বিশ্বনাথের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, শঙ্কিত মৎস্য খামারি ও কৃষকরা
সমুজ আহমদ, বিশ্বনাথ থেকে
টানা কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাল-বিল,নদী-নালা ও হাওয়ের পানি। সেই সাথে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাড়ছে পানির এ মাত্রা। এতে করে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে গোটা উপজেলার নিম্নাঞ্চল। ক্ষতির শংকায় আছেন এখানকার মৎস্য খামারি ও কৃষকরা। পানি বাড়ার গতিতে তারা মৎস্য চাষের পুকুরে চারপাশ জাল দিয়ে বেষ্টিত করছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে গত বছরের মতো ফের আকস্মিক বন্যার আশংকা করছেন উপজেলাবাসী।
ঈদের পূর্বের দিন থেকে শুরু হয় অবিরাম প্রবল ভারী বৃষ্টি। রাত-দিন থেমে থেমে বিরামহীন ভারী বৃষ্টিপাতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে হাওর, খাল-বিল ও নদীনালার পানি। এতে করে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে। অফিসগামীরাও পড়েছে বিপদে।
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে বিপদ সীমার কাছাকাছিতে অবস্থান করছে উপজেলার সীমানা ঘেঁষে প্রবাহিত সুরমা ও উপজেলার সদর দিয়ে প্রবাহিত বাসিয়া,মাকুন্দা নদীর পানি।এতে করে নিম্নাঞ্চলসহ নদীর তীরবর্তী এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।ইতিমধ্যে অনেকে বাঁশের সাকো ও কলাগাছের ভেলা তৈরি করে ব্যবস্থা করছেন চলাচলের।
সরেজমিনে উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চী,রামপাশাসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ইতিমধ্যে নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ ও মৎস্য খামারিদের খামারগুলো এবং কৃষকদের আউশের জমিগুলোও পানিতে তলিয়ে গেছে।
মৎস্য খামারি সাইদুর বলেন, গত বছরের উপুর্যুপরি বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর কয়েক লক্ষ টাকার পোনা চাষ করেছি। চারপাশ জালের বেষ্টনী দিয়ে রেখেছি। এমতাবস্থা চলতে থাকলে এবার মাথায় হাত ছাড়া কোন উপায় নেই।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান সাংবাদিককে জানান, ত্রান সামগ্রী মজুদ রয়েছে।পাশাপাশি উপজেলার সকল বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলোসহ সে পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল প্রকার প্রস্তুতিও নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।