শ্রীমঙ্গলে প্রথমবারের মতো ড্রাগন ফল চাষে সফল কামাল হোসেন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রথমবারের মতো বিদেশী ড্রাগন ফল চাষ করে সফল হয়েছেন হাজী মো: কামাল হোসেন। হাজী কামাল হোসেন একজন ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও লেবু আনারস চাষি। তিনি মৌলভীবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাশাপাশি তিনি একজন সফল লেবু আনারস চাষিও। রাজনীতি ও ব্যবসার পাশাপাশি হাজী কামাল হোসেন লেবু ও আনারসের বাগান করে সফল হয়েছেন। বর্তমানে লেবুর বাজার পড়ে যাওয়ায় বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করার পরিকল্পনা করেন হাজী কামাল হোসেন।
তিনি জানান, লেবু বাগানে যে পরিমান খরচ হয়, তার অর্ধেক মূল্যও মিলেনা বিক্রি করে। আনারসেরও একই অবস্থা। তাই লেবুর চাষ কমিয়ে পুষ্টিকর বিদেশী ফল ড্রাগনসহ অন্যান্য ফল চাষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বাসাবাড়ির ছাদে ড্রাগন চাষ হচ্ছে দেখে আমি অত্যান্ত সুন্দর ও সুস্বাধু এই ফলটি চাষ করার আগ্রহ পাই। তিনি বলেন, প্রথমে আমার এক বন্ধুর পরামর্শে ও তার দেওয়া ড্রাগন ফলের চারা দিয়ে শুরু করি। এক বছর সেই চারা থেকে অনেক চারা উৎপাদন করেছি। তা দিয়ে পরীক্ষামুলক ১০০ টি ড্রাগন ফলের গাছ রোপণ করি। এখন প্রায় প্রতিটি গাছে ১৫ থেকে ২০টি ফল এসেছে। এবং খাওয়ার উপযোগী হয়েছে অনেক ফল। ফলন দেখে আমি আনন্দিত। যেহেতু শখ করে প্রথম চাষ করেছি, ফলগুলো আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের মধ্যে খাওয়াবো। আগামীতে ব্যাপক হারে ও বানিজ্যিক চিন্তাভাবনা নিয়ে ড্রাগন ফল চাষ করার ছিন্তা করছি। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় ড্রাগন ফল চাষ করলে চাষিরা অনেক লাভবান হবেন। শ্রীমঙ্গলের মাঠি ড্রাগন চাষের উপযোগী। এ ফল চাষে এগিয়ে আসার জন্য তিনি অন্যান্য চাষিদের আহ্বন জানান।
এব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. মহিউদ্দিন জানান, ড্রাগন ফল ভিটামিন সি’র মাত্রা বেশি থাকায় এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, মানসিক অবসাদ দূর করে এবং ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফল চাষ অবশ্যই লাভজনক। শ্রীমঙ্গলে পাহাড়ী-টিলায় এ ফল চাষ করলে যে কেউ লাভবান হবেন। ভালো মানের চারা রোপণ করলে ফলনও ভালো মিলে। ড্রাগন চাষে খরচও কম। গোবর, সার ও পরিচর্যা করলেই চলে। ড্রাগন ফল চাষে কেউ পরামর্শ চাইলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতা করা হবে। শ্রীমঙ্গলে ড্রাগন চাষ শুরু করায় কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, সুযোগ করে একবার কামাল হোসেন এর চাষ করা ড্রাগন বাগান পরিদর্শন করে আসব।