জগন্নাথপুরে ৫ দিন পর দুই সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু

জুযেল আহমদ, জগন্নাথপুর প্রতিনিধি :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা সদরের নলজুর নদীর ওপর নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ দুই সেতু দিয়ে ৫ দিন বন্ধ ধরে যানচলাচল বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার থেকে আবারো যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ অনেকটা কমেছে।
স্থানীয়রা জানান, আষাঢ়ের অব্যাহত ঢলে উপজেলার নদ-নদী বৃদ্ধি পাওয়ায় সদরের নজলুর নদীর হেলিপ্যাড এলাাকায় বিকল্প বেইলি সেতু গত গত সোমবার পানিতে তলিয়ে যায়। ফলে এ সেতু দিয়ে সবধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে নলজুরের অপর দেবে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ডাক বাংলোর সরো সেতুতে যানবাহণের প্রচণ্ড চাপ বাড়লে স্থানীয় প্রশাসন দুর্ঘটনায় এড়াতে ওই সেতু দিয়ে গত মঙ্গলবার যান চলাচল বন্ধ করে দেন। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে উঠে। গত কয়েক দিনে বৃষ্টিপাত কম হওয়াতে নলজুর নদীর পানি কমে যাওয়ায় ফের চালু হয়েছে ওই সেতু দু’টি দিয়ে যানচলাচল।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৭ সালে নলজুর নদীর ওপর ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নের গুদামের সামনে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি টেকসই থাকলেও একসঙ্গে বড় দুটি যান চলাচল করতে না পারায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যে কারণে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডির মাধ্যমে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে পুরাতন এ সেতু ভেঙে নতুন দৃষ্টি নন্দন আর্চ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গত ২৬ মার্চ সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করলে নতুন সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ফলে বিকল্প হিসেবে একটি বেইলি সেতু হেলিপ্যাড এলাকায় নির্মাণ করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতুটি নিচু করে তৈরী করায় আষাঢ়ের ঢলে গত সোমবার থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সেতু দিয়ে উপজেলার পশ্চিম অঞ্চলের যানবাহন পূর্বাঞ্চলে যাতায়াত করে।
অপর দিকে, ১৯৮৮ সালে নলজুর নদীর ওপর ডাকবাংলো সেতুটি ব্যবসায়ীদের অর্থায়নে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরে ১৯৯৬ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে সেতুর কাজ শেষ হয়। সেই থেকে সরো এ সেতু দিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করে। ২০২১ সালে নলজুর নদী খনন কালে সেতুর পিলারের কাছ থেকে খনন যন্ত্র দিয়ে মাটি কাটার সময় সেতুর দুটি অংশ দেবে যায়। এক বছর যান চলাচল বন্ধ থাকার পর গত ২৩ মার্চ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জগন্নাথপুর পৌরসভা উদোগ্যে সেতুর দেবে যাওয়া অংশে ষ্টীলের পাটাতন বসিয়ে সেতুটি চালু করে। বিকল্প সেতু চালুর পর ডাকবাংলো সেতু দিয়ে উপজেলার পূর্বাঞ্চল থেকে পশ্চিম অঞ্চলে যান চলাচল শুরু হয়।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, জনসাধারণের চলাচলের সুবিদার্থে বিকল্প সেতুর সংযোগ সড়কে বালির বস্তা ফেলে মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া নদীর পানি কমে যাওয়ায় দুই সেতু দিয়েই যান চলাচল শুরু হয়েছে।