শশুরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা: জামাই গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মেয়ে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন নুর আলম (৪৯) নামে এক ব্যক্তি। রবিবার রাত ৮টায় দিকে শানখলা ইউনিয়নের পানছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি জামাই সেলিম (৩০) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার সেলিম উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের উত্তর কালিনগর এলাকার আবু মিয়ার পুত্র। এর আগে টানা ৫ ঘন্টার সাড়াশি অভিযানে হত্যাকাণ্ডের ৮ ঘন্টার মধ্যে সোমবার ভোর সাড়ে ৫ টায় উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকার ডেউয়াতলি গ্রামের মসজিদের পাশ থেকে জামাই সেলিমকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
গ্রেপ্তার সাড়াশি অভিযানে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাশেদুল হক এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক( তদন্ত) গোলাম মোস্তফা সহ একদল পুলিশ অংশ নেন । এ তথ্য নিশ্চিত করে সকালে চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক জানান, ঘাতক সেলিম পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে এবং তার দেখানো মতে হত্যায় ব্যবহ্নত রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অনুমান ৪ বছর আগে নুর আলমের মেয়ে লিজু বেগমকে বিয়ে করেন। সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শ্বশুরের সঙ্গে সেলিমের প্রায়ই কলহ হতো। কলহের জেরে গত ২ জুলাই সেলিমের স্ত্রী লিজুর সাথে সেলিমের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে সেলিম তার স্ত্রীকে মারপিট করে। পরবর্তীতে স্ত্রী লিজু চুনারুঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। জামাইয়ের অনুপস্থিতে নিহত শশুর নুর আলম মেয়ের জামাইয়ের পরিবারের লোকজন কে গালাগালি ও ভয়ভীতি দেখান। খবর পেয়ে ঘটনার দিন রবিবার দুপুরে সেলিম নিজ বাড়িতে আসে এবং সন্ধ্যার পর শশুর বাড়ি যায় । সেখানে সেলিম পূর্বের বিষয় নিয়ে স্ত্রী ও শশুরের সাথে কথা কাটাকটি হয়। শ্বশুর ও জামাতার মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির একপর্যায়ে জামাতা সেলিম ঘরে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শ্বশুরের বুকে মুখে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনারস্থললেই মারা যান শশুর ।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শন তদন্ত গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনার স্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন । ঘটনার পরপরই ঘাতক জামাই পালিয়ে যায়। এর পর থেকে থানা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ঘাতক জামাইকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে টানা ৫ ঘন্টার সাড়াশি অভিযানে ঘাতক জামাইকে নিজ এলাকার পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ ।