হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে আনোয়ারুজ্জামান’র শ্রদ্ধা
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক রাষ্ট্রদূত, জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার, বরেণ্য কূটনীতিক ও বৃহত্তর সিলেটের কৃতি সন্তান স্পীকার হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীর ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মাজার সংলগ্ন গোরস্থানে মরহুমের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
এসময় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মবাশ্বির আলী সহ নেতৃবৃন্দ।
হুমায়ুন রশীদ চৌধুরীর জন্ম ১৯২৮ সালের ১১ নভেম্বর সিলেট শহরের দরগা গেইটস্থ রশিদ মঞ্জিলে। পিতা আব্দুর রশিদ চৌধুরী ছিলেন অবিভক্ত ভারতের কেন্দ্রীয় বিধান সভার সদস্য এবং মাতা সিরাজুন নেছা চৌধুরী ছিলেন পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে কূটনৈতিক অঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখেন সিলেটের বনেদি পরিবারের সন্তান হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী। ওই সময় তিনি নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান হিসেবে ভারতের সংসদ অধিবেশনে ভাষণ দেন। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু পরিবারের একজন শুভাকাঙ্খী হিসেবে তিনি ১৯৭৫ সালে ভূমিকা রাখেন।
যুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ে ৪০টিরও অধিক দেশের সাথে কূটনৈতিক তৎপরতা চালান। স্বাধীনতা পরবর্তীতে তিনি একাধারে রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্রসচিব, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এবং সবশেষে মহান জাতীয় সংসদের স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালের ১০ জুলাই তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিলেট-১ আসনের এমপি থাকা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পর বরেণ্য এ রাজনীতিবিদ সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গনে চিরনিদ্রায় শায়িত হন।