শান্তিগঞ্জে কাঁঠাল নিয়ে দু’ পক্ষের সংঘর্ষের মামলা, আসামি ১৬৩
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ গ্রামে কাঁঠালের নিলাম নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় একপক্ষ মামলা করেছে। সংঘর্ষে নিহত দ্বীন ইসলাম পক্ষের নুরুল হকের ভাই তফজ্জুল হক ও বাবুল মিয়ার ভাই ফারুক আহমদ রোববার মালদার মিয়ার পক্ষের মোট ১৬৩ জনকে আসামি করে পৃথক দুটি মামলা করেন। ওই সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৭ জুলাই হাসনাবাদ জামে মসজিদে জুমার নামাজের পর মসজিদ প্রাঙ্গণে একটি কাঁঠাল নিলামে তোলা হয়। নিলামে দাম হাঁকেন মালদার মিয়ার পক্ষের শেখ ফরিদ ও দ্বীন ইসলাম পক্ষের আনার উদ্দিন। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় শেখ ফরিদ বেশি দামে কাঁঠাল কেনায় ক্ষুব্ধ দ্বীন ইসলাম পক্ষের লোকজন। এরপর মালদার মিয়ার লোকদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে চলে যায় অপরপক্ষ।
এর জেরে ১০ জুলাই বেলা ১১টায় হাসনাবাদ গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দ্বীন ইসলাম পক্ষের নুরুল হক, বাবুল মিয়া ও মালদার মিয়ার পক্ষের শাহজাহান মিয়া মারা যান। পর দিন রাতে পাশের গ্রামে পালিয়ে থাকা সংঘর্ষে আহত মালদার মিয়ার পক্ষের মখলিছুর রহমানের মৃত্যু হয়।
এদিকে পুলিশ বলছে, মখলিছুর কীভাবে মারা গেছেন, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
সংঘর্ষের ঘটনার ছয় দিন পর নুরুল হকের ভাই মালদার মিয়ার পক্ষের ৬৯ জন এবং বাবুল মিয়ার ভাই ৯৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি হত্যা মামলা করেন।
শান্তিগঞ্জ থানার ওসি খালেদ চৌধুরী জানান, তাদের মামলা গ্রহণ হয়েছে। প্রতিপক্ষের কেউ এখনও মামলা করেনি।