চুকিয়া উলুখাল ও করচাগ্রুপ জলমহালে অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার চুকিয়া উলুখাল ও করচাগ্রুপ জলমহালে জোরপূর্বক অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চুকিয়া উলুখাল জলমহালে অবৈধভাবে বেরিকেড দিয়ে নিষিদ্ধজাল দিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার আমতৈল গ্রামের অজ্ঞাত ৪/৫ জন লোক মাছ নিধন করিতেছে বলে বৈশাখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করেছেন। অবৈধ জাল দিয়ে জলমহালদ্বয়ের মাছের বংশ নিঃবংশ করা হচ্ছে বলে ৩ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তারের কাছে অভিযোগ করেছেন।
বৈশাখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি সমুজ মিয়া ও সম্পাদক জায়েদ আহমদের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগে আরো বলা হয়, চুকিয়া উলুখাল জলমহালটি ১৪২৯-১৪৩১ বাংলা সন পর্যন্ত ও করচাগ্রুপ জলমহালটি ১৪২৬-১৪৫১ বাংলা সন পর্যন্ত বৈশাখী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে ইজারা নেয়। করচা গ্রুপের পূর্বের ইজারা মূল্য ছিল ভ্যাট আয়করসহ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু উক্ত জলমহালটির ১৪২৬বাংলা সন হইতে ভ্যাটসহ চলতি সন পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছি। ওই সমিতির দ্বারা সরকার অধিক রাজস্ব পাচ্ছে। কিন্তু চুকিয়া উলুখাল জলমহালটির আনুমানিক ৫০/৬০ ফুট পশ্চিমে বেরিকেড দিয়ে অবৈধভাবে ম্যাজিক জাল, বস্তা জাল, কারেন্ট জাল, বানি জাল দিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলার আমতৈল গ্রামের অজ্ঞাত ৪/৫জন লোক মাছ নিধন করিতেছে। যার ফলে ভবিষ্যতে উক্ত জলমহালন্বয়ে মাছের বংশও থাকবে না। উক্ত বেরিকেডের দ্বারা চাতল ফাটা চাতল, মাইজাইল বিল, তেতুইল খাল, মাছুয়া ঝারবারিসহ আরো ৫/৬টি বিলের মারাত্নক ক্ষতি হবে। যার ফলে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিবে।
লিখিত অভিযোগে স্বাক্ষরকারীরা বলেন, বেরিকেড দেওয়ায় আমাদের সমিতির সদ্যসবৃন্দ মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অতি সত্তর অবৈধভাবে মাছ নিধনকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির অনুরোধ করেন তারা।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিক বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, অভিযোগের বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।