বিয়ানীবাজার চারখাই থেকে ভুয়া চিকিৎসক সনাক্ত
সম্প্রতি বিয়ানীবাজার চারখাই থেকে এক ভুয়া সনদ ধারী এক ভুয়া ডাক্তারকে সনাক্ত করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায় বিএমডিসি রেজিষ্ট্রেশন নং A-21249 ব্যবহার করে বিগত ২০১৫ সাল হতে বিভিন্ন জায়গায় এমবিবিএস/এফসিপিএস/সার্জারি/গাইনী ইত্যাদি ডাক্তার পরিচয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুল চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন চাদপুর জেলার নাগরপুর আরাগ্রামের জোনাব আলীর ছেলে মোঃ মোর্শেদ আলম, তিনি ২০২০ সালের ১৪ই অক্টোবর গাইবান্ধা জেলার সদর হাসপাতাল রোডে মোঃ মোর্শেদ আলম নামে এক ব্যাক্তি বিগত ৬-৭ বছর ধরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছিলেন। সেখানে ভুয়া চিকিৎসা ও নানান অভিযোগ এর ভিত্তিতে গাইবান্ধা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এর পরিপ্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করে গাইবান্ধা জেলার সাবেক সিভিল সার্জন ডাঃ আ. ম. আখতারুজ্জামান এর পরামর্শে এবং গাইবান্ধা জেলার ডিসি এবং র্যাব -১৩ এর সার্বিক সহযোগিতায় ভুয়া চিকিৎসক হিসেবে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ৯০০০০টাকা জরিমানা করা হয়। ৯০০০০/- টাকা জরিমানা প্রদান এবং ভবিষ্যতে এজাতীয় প্রতারণা না করার মুছলেকা প্রদান করেন।
এ৮ প্রতারক ভুয়া ডাক্তার,সেখার ঘটনার সম্মাপ্তি হওয়ায় চলে আসেন সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় বিয়ানীবাজার ক্যান্সার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। সেখানেও তাকে অনেকে ভুয়া সার্টিফিকেট ও ভুয়া চিকিৎসক সম্পর্কে সন্ধেহ হলে চাকরি হতে অব্যাহতি নিতে বলেন। এবং অব্যাহতি নিলে রাতের আধারে চলে যান সেখান থেকে ।
পরবর্তিতে তিনি বিডি জবস এর সার্কুলারে মাধ্যমে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ইউনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। সেখানেও দীর্ঘদিন চাকরির পর বিভিন্ন প্রকারের অভিযোগ ছিলো, বিশেষ করে নারী সংক্রান্ত বিষয়ের অভিযোগে প্রতিষ্ঠান থেকে অব্যাহতি দিয়ে দেন।
বিভিন্ন অনুন্ধানে জানা যায় তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি হাসপাতাল চাঁদপুরেও দীর্ঘদিন এমডি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। ভুয়া চিকিৎসক বলে প্রকাশিত হলে সেখান থেকে রাতের অন্ধকারে পালিয়ে আত্মরক্ষা পান।
বিএমডিসি A-21249 ব্যবহার করে ডাঃ মোঃ মোর্শেদ আলম নামের যে ব্যক্তি উনার সাথে সমন্বয় করে উনার বিএমডিসিবরেজি নং ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে এবং উনার সহযোগীতায় বিভিন্ন স্থানে ভুয়া চিকিৎসা করেছি এবং বিভিন্ন স্থানে ধরাও পড়েছি বলে স্বীকারোক্তি দেন ভুয়া ডাক্তার মোর্শেদ আলম এই শেষ নয় শেষ পর্যন্ত চারখাই মাল্টিকেয়ার হাসপাতালে আবারও মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগের জন্য আবেদন করলে, সেখানে চাকরি পান এই ভুয়া ডাক্তার, কিন্তু কর্তৃপক্ষের কাছে চিকিৎসা প্রদান ও আচার আচরনে সন্দেহ হলে কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান করেন বিএমডিসি রেজি. নং, সমস্ত সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয় পত্র, ও অন্যান্য সার্টিফিকেট ডাঃ মোঃ শাহিদ আহমদ তুহিন, ও ডাঃ শাহ মোঃ সাদিক আহমেদ শাহীন যাচাই বাচাই করেন। সমস্ত কাগজ পত্র যাচাই বাচাইয়ে দেখা যায় সে গুলি জাল এবং অন্য একজন ডাক্তারের বিএমডিসি রেজিঃ নং দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ডিগ্রীধারী হিসেবে প্র্যাক্টিস করার বিষয়টি সনাক্ত করেন এবং সাথে সাথে তাকে আটক করেন।
ভবিষ্যতে এইরকম অপকর্ম ও ভুয়া ডাক্তারি করবে না বলে অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসক মোর্শেদ আলম এর কাছ থেকে লিখিত ও ভিডিও ধারনকৃত স্বীকার উক্তি নেয়া হয়। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন আমাদের সন্দেহ হলে আমরা অনুসন্ধান করি, এবং আমাদের অনুসন্ধানে এই বিষয় গুলা আমরা সনাক্ত করি।