মসজিদের ইমামকে পিঠিয়ে আহত করল এক মাতাল

মেহেদী হাসান ভুঁইয়া, তাহিরপুর প্রতিনিধি
মদ খেয়ে মাতলামি ও হৈ হুল্লোড় করতে নিষেধ করায় মসজিদে ইমাম রিয়াজ উদ্দিনকে মদের বোতল,লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে,কিল-ঘুষি মেরে গুরুত্ব আহত করে গ্রামের বাসিন্দা মৃত রজব আলীর ছেলে চান্দু মিয়া।
পরে স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুত্বর আহত অবস্থায় ইমামকে রিয়াজ উদ্দিনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়।
এমনি ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার( ৩ আগষ্ট)রাত ৯টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন পানিয়াখালী গ্রামে। এ ঘটনার ভুক্তভোগী ইমাম তাহিরপুর থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ইমাম রিয়াজ উদ্দিন উল্লেখ করেছেন,পানিয়াখালী গ্রামের দীর্ঘ চার বছর যাবৎ ইমামতি করছেন। মসজিদের পাশেই চান্দু মিয়ার বাড়ি আর প্রতিদিনেই মদ খেয়ে নামাজের সময় মাতলামী করাসহ হই হল্লো করে, এতে করে নামাজে সমস্যা হয়। তাকে এলাকাবাসী নিয়ে নিষেধ করলে কোনো কথাই শুনে না। ঘটনার দিন গত রাতে এশার নামাজের সময় একেই কাজ করে চান্দু মিয়া। নামাজ শেষে তার বাড়িতে গিয়ে থাকে বুজিয়ে বলার পরও মদের বোতল,লাঠি দিয়ে পিঠিয়ে,কিল-ঘুষি মেরে গুরুত্ব আহত করে। এসময় আমাকে বেশি বাড়াবাড়ি করলে হত্যা করবে বলে হুমকি দেয়।
গ্রামের বাসিন্দা দুলা মিয়া জানান,চান্দু মিয়াকে মদ খেয়ে নামাজের সময় মাতলামী ও হৈ হুল্লোড় করতে নিষেধ করায় মসজিদে ইমাম সাহেবকে পিঠিয়েছে। আমরা উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়েছি। সে খুব খারাপ লোক তার শাস্তির দাবি করছি।
মসজিদে ইমাম রিয়াজ উদ্দিন বলেন,নামাজের সময় মাতলামী ও হই হুল্লোড় না করতে নিষেধ করায় আমাকে পিঠিয়েছে আবার হত্যা করার হুমকি দিয়েছে। আমি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান,লিখিত অভিযোগ পেয়েছি,এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।