ছাতকে লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী, বাড়ছে ভোগান্তি

দৈনিকসিলেট ডটকম :
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। শহরের চেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে গ্রামাঞ্চলে। তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় মানুষের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ছাতক পৌরসভা এলাকায় দিনে পাঁচ-সাতবার লোডশেডিং হলেও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুবই নাজুক। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ লোডশেডিং কম হচ্ছে দাবি করলেও বাস্তবতা ভিন্ন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।
জানা যায়, উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) পৃথক বিদ্যুৎ লাইন রয়েছে। শহরাঞ্চলের অধিকাংশ এলাকার গ্রাহক বিপিডিবির আওতায়। এ ছাড়া এর আওতায় ছাতক উপজেলার পাশাপাশি দোয়ারাবাজার ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকা রয়েছে। বর্তমানে বিপিডিবির গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৪ হাজার বলে জানা গেছে। ছাতকে বিপিডিবির বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন ১০ মেগাওয়াটের বিপরীতে সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৮ মেগাওয়াট। অপরদিকে উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে ৮ মেগাওয়াটের বিপরীতে গড়ে প্রতিদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় প্রায় ৫ মেগাওয়াট।
উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গনেশপুর গ্রামের বাসিন্দা তাজুল ইসলাম জানান, ব্যাপক মাত্রায় লোডশেডিং হচ্ছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত অন্তত ৮-৯ বার বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করেছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেও কোনো লাভ হচ্ছে না।
নোয়ারাই ইউনিয়নের লক্ষ্মীবাউর গ্রামের বাসিন্দা মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী মনির মিয়া জানান, প্রতিদিন লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ সংযোগ থাকার পরও সোলার প্যানেল ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে করে বিদ্যুতের খরচও বাড়ছে।
গোবিন্দগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের এজিএম সিরাজুল ইসলাম জানান, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। এ ছাড়া সঞ্চালন-বিতরণ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা ও গ্রামাঞ্চলে প্রতিনিয়ত নতুন সংযোগ বাড়ার কারণে চাপ বাড়ছে।
উপজেলা বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ জানান, বর্তমানে পৌরসভা এলাকায় লোডশেডিং কম। অন্য এলাকার তুলনায় এখানের বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি ভালো। তবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য প্রায়ই বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে।