২০ বছর পর দাম্পত্য জীবনে ফাটল: স্ত্রীকে পিটিয়ে জখম

নুর উদ্দিন সুমন, হবিগঞ্জ :
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে জামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুই সন্তান ও প্রবাসী স্ত্রী ছালেহা বেগমকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় সদর ইউনিয়নের শালগাছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে রাত সাড়ে ১২টায় চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চুনারুঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ ছালেহা বেগম জানান, ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের শালগাছ গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের পুত্র মো: জামাল মিয়ার সঙ্গে ছালেহা বেগম (৩৬ ) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে মো: জিসান মিয়া (১৭) ও কলসুমা আক্তার প্রিয়া (১৬) নামে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই সংসারে অভাব-অনটন লেগে ছিল। প্রায় ৫ মাস পূর্বে সংসারে সচ্ছলতা আনতে তিনি ওমানে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে যান। বিদেশ থাকার সময় স্বামী জামাল মিয়া দ্বিতীয় বিয়ে করছেন শুনে গত ৯ আগস্ট বিদেশ থেকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এ সময় জামাল মিয়া নানা রকম ছল-চাতুরি করে তার কাছে বিদেশ থেকে উপার্জিত টাকা চায়। একপর্যায়ে স্বামী সহ শশুর বাড়ির লোকজন তাকে মারপিট করে স্বর্ণালংকার ও বিদেশী মোবাইল ফোন মারপিট করে নিয়ে যায় বলে ওই গৃহবধূ ছালেহা দাবী করেন। বিদেশ যাওয়ার পূর্বেও বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে জামাল মিয়া তার স্ত্রী ছালেহা বেগমকে মারপিট করেন।
ছালেহা জানায়, বিদেশ থেকে ফিরে শাইলগাছ সন্তানদের কাছে এসে স্বামী জামাল, শাশুড়ী আমিনা খাতুন ননাস লুৎফা, ভাসুর কামালের স্ত্রী ফাতেমা ও দেবর হারুনের স্ত্রী খাইরুন্নেছা সহ ৭/৮ জন মিলে তাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। এতে ছালেহার বাম হাতে ৩ টি সেলাই ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত প্রাপ্ত হন । পরে খবর পেয়ে গৃহবধূর পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত কাউকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার উপ- পরিদর্শক এসআই সনজিত চন্দ্র দেব জানান, প্রবাসী ছালেহার স্বামী জামাল মিয়া ছালেহাকে তালাক দিয়েছেন সেই খবরে ছালেহা প্রবাস থেকে এসে বাড়িতে গেলে স্বামী ও শশুর বাড়ির লোকজনের সাথে ঝগড়াঝাটি হয়। তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে শুক্রবার দুপুরে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার জানান, তার হাতে সেলাই ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে আমরা তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।