সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী উদযাপন
সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী উদযাপন
মঙ্গলবার ( ১৫ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ ও স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনাসভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, কবিতা আবৃত্তি, হামদ্ ও নাত, চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতা এবং দোয়া মাহফিল। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের মূল কার্যক্রম শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. রোকনুজ্জামান খাঁন, পিএইচডি, এইসি, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকমণ্ডলী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মচারীবৃন্দ। এরপর আলোচনাসভায় জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন নির্বাচিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত রচনা, হামদ্ ও নাত, কবিতা আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শুরুতেই অধ্যক্ষ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহিদের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও শান্তি কামনা করেন। বঙ্গবন্ধু এক ব্যক্তি নন মহান এক আদর্শের নাম যাকে দৈহিকভাবে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ চিরঞ্জীব।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ১৫ই আগস্ট আমাদের জাতীয় জীবনে একটি কালো অধ্যায়। এ দিনটি এদেশের ১৬ কোটি মানুষ গভীর বেদনার সঙ্গে স্মরণ করে। তাঁর মহান আদর্শকে প্রতিটি বাঙালির জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে যদি সর্বশক্তি নিয়ে আত্মনিয়োগ করা যায় তাহলে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো সার্থক হবে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করে এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিকতাসম্পন্ন, মানবিকগুণে সৃষ্টিশীল, আত্মপ্রত্যয়ী এবং সুশিক্ষায় সুশিক্ষিত হয়ে সুনাগরিক হতে হবে।
অনুষ্ঠান শেষে জাতির পিতা এবং তার পরিবারের সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।