বিশ্বনাথে পেয়ারা নিয়ে ঝগড়ার পর যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

দৈনিকসিলেট ডটকম :
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রামপাশা দক্ষিণ পাড়া গ্রামে পেয়ারা পাড়া নিয়ে ঝগড়ার পর রশিদ আলী নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এটি হত্যা নাকি স্বকাভাবিক মৃত্যু– এ নিয়ে নানা প্রশ্ন জেগেছে স্থানীয়দের মনে।
রশিদের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারের দাবি, প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, বিদ্যুৎস্পর্শে বা স্ট্রোকের কারণে মারা গেছেন রশিদ।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাড়ির পেয়ারা গাছ থেকে পেয়ারা পাড়া নিয়ে চাচাতো ভাই জয়রাজ ও চাচি লিলা বেগমের সঙ্গে রশিদ আলীর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে রশিদ আলী নিজ ঘরের টিন খুলতে গিয়ে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এর পর রাত ১১টার দিকে তাঁকে কাদিপুরের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রশিদ আলী ও তাঁর চাচা ছাদিক আলীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে।
এরই জেরে বাড়িতে থাকা একটি পেয়ারা গাছের মালিকানা নিয়েও বিরোধ শুরু হয়। ঘটনার দিন বিরোধপূর্ণ জায়গায় থাকা পেয়ারা গাছ থেকে রশিদের চাচাতো ভাই জয়রাজ ও তার দুই মেয়ে পেয়ারা পাড়েন। এ নিয়ে রাতে চাচাতো ভাই জয়রাজ ও চাচি লিলা বেগমের সঙ্গে রশিদ আলীদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে রশিদ আলী উত্তেজিত হয়ে এই বাড়ি থেকে একেবারেই চলে যাবেন বলে নিজ বসতঘরের দরজা-জানালা ও টিনের বেড়া ভাঙা শুরু করেন। ঠিক সে সময় চিৎকার করে কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
মঙ্গলবার পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন ও জয়ন্ত দেব জানান, প্রাথমকিভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রশিদ আলী বিদ্যুৎস্পর্শে বা স্ট্রোকে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাচ্ছে না।