নবীগঞ্জে এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার পরীক্ষার্থী

নূরুজ্জামান ফারুকী নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশের ন্যায় নবীগঞ্জেও শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। গত বছর পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ২ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হলেও চলতি বছর সকল বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষার্থীরা অংশ নেবে। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিলেট বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র। মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কুরআন মাজিদ। এইচএসসি ভোকেশনাল ও এইচএসসি ব্যাবসা ব্যাবস্থাপনা বাংলা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর নবীগঞ্জ উপজেলার মোট ৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় বসবে ৩ হাজার ৪ শত ৭৯ জন পরীক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষায় নবীগঞ্জ সরকারি কলেজ, ইনাতগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ও আউশকান্দি র.প. উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজসহ ৩টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ১ শত ৩৬ জন এবং ভোকেশনাল ৬৯ জন। মাদ্রাসার একমাত্র কেন্দ্র সঈদপুর বাজার মাদ্রাসায় আলীম পরীক্ষার্থী ২ শত ৭৪ জন।
এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ জন এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন। সারা দেশে মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ১৬৯টি। ২০২২ সালে সব বোর্ড মিলিয়ে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ জন। সেই হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ জন।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ১৪ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৪৩ দিন সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে গত কয়েক বছরের মতো এবারও পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্ন পত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৭ আগস্ট হতে শুরু হয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ সেপ্টেম্বর হতে শুরু হয়ে ৪ অক্টোবর শেষ হবে।
পরীক্ষার হল থেকে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে এবারও স্মার্ট ফোন নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে শিক্ষা বোর্ড। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ব্যতীত অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ব্যতীত) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।