রওশন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, চুন্নু বলেছেন খবরটি ভুয়া
এবার রওশন এরশাদ নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এই ঘোষণা–সম্পর্কিত তাঁর সই করা এক বিজ্ঞপ্তি আজ মঙ্গলবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে জানেন না দলটির অন্য নেতারা।
দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের যখন ভারত সফরে রয়েছেন, সে সময় রওশন এরশাদ নিজেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করায় দলে ভাঙনের আশঙ্কা করছেন দলের নেতারা। যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিবসহ নেতাদের অনেকে বলেছেন, তাঁরা রওশন এরশাদের এ ঘোষণার ব্যাপারে কিছুই জানেন না। দলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এই দুই শীর্ষ নেতার বিরোধ চলছে অনেক দিন ধরেই।
আজ গণমাধ্যমে পাঠানো রওশন এরশাদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘আমি বেগম রওশন এরশাদ, এমপি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো–চেয়ারম্যান এই মর্মে ঘোষণা করছি যে পার্টির সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ও সিদ্ধান্তক্রমে দলের গতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে দলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’ এই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা কো–চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সই করেছেন।
এদিকে মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বিরোধী দলের নেতা বেগম রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে ‘ফেক নিউজ’ দাবি করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেলে পার্টি চেয়ারম্যান’র প্রেস সেক্রেটারি-০২ খন্দকার দেলোয়ার জালালী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছেন। তিনিই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। পার্টি থেকে বহিষ্কৃত কিছু ব্যক্তি ম্যাডামের নাম ব্যবহার করে এমন একটি ফেক নিউজ দিয়েছে। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি এবং ঘটনার সুযোগও নেই।
‘গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে একটি নিউজ এসেছে, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে…মূলত এটি একটি ফেক নিউজ। জাতীয় পার্টির যে কয়জন কো-চেয়ারম্যানদের নাম ব্যবহার করে নিউজটি করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকের সাথে আমার কথা হয়েছে। কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ জানিয়েছেন, তারা এমন কোনও সিদ্ধান্তে সহায়তা করেননি এবং স্বাক্ষর করেননি। স্বাক্ষর দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে কেউ ইচ্ছে করলেই চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি দিতে পারে না। গঠনতন্ত্রের বাইরে কেউই কিছু করতে পারবে না।