মাধবপুরে আলোচিত বাবুল হত্যার রহস্য উন্মোচন

মাধবপুর প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে বাবুল মিয়ার (৪৬) হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় রঘুনন্দন পাহাড়ে এলাকার বরুড়া নামক স্থানে অর্ধগলিত লাশ পাওয়ার রহস্য উন্মোচন করেছে মাধবপুর থানা পুলিশ।
নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগমের অভিযোগ ছিল তার স্বামীকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৩ আগষ্ট) মাধবপুর থানায় সদ্য যোগদানকারী ওসি রকিবুল ইসলাম খানঁ ও ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে চুনারুঘাট উপজেলার সানখলা ইউনিয়নের কালিনগর গ্রামের চেরাগ আলীর পুত্র লাল মিয়া (৫০) কে সন্দেহজনকভাবে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর লাল মিয়া ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকার করলে তাকে আদালতে প্রেরন করা হয় এবং বৃহস্পতিবার ২৪ আগষ্ট হবিগঞ্জের আমল গ্রহণকারী আদালত-০৬ এর ম্যাজিস্ট্রেট ফখরুল ইসলামের আদালতে সে হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুলাই সকালে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ইটাখোলা গ্রামের মৃত ছায়েব আলী সর্দারের ছেলে বাবুল মিয়া(৪৬) পাশবর্তী নোয়াপাড়া পাহাড়ী এলাকায় প্রতিদিনের মত গরু চড়াতে যায়।কিন্তু বেলা শেষে গরুগুলো ফিরে আসলেও বাবুল মিয়া ফিরে আসেনি।পরে পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকায় খুঁজাখঁজি করে না পেয়ে মাধবপুর থানায় তার স্ত্রী একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
ঘটনার ৪দিন পর (১৮ জুলাই) স্থানীয় লোকজন গহীন পাহাড় এলাকায় বরুড়া নামক স্থানে হাত পা ও মুখ বাধা অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশ কে খবর দেয়।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খাঁন জানান, সংবাদ সম্মেলন করে কি কারণে বাবুল খুন হয়েছে বিস্তারিত জানানো হবে।