চুনারুঘাটে বেহাল সড়কে ১০ গ্রামের ভোগান্তি
দৈনিকসিলেট ডেস্ক :
হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের লালচান্দ চা বাগান ও শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং সড়কটি গত কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে সড়কের তোতারটিপি এলাকায় সড়কে বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার অন্তত ১০টি গ্রামের প্রায় অর্ধলাখ বাসিন্দাকে।
চুনারুঘাটের জেউয়াতুলি, মহিমাউরা, রমাপুর, কালিনগর, লালচান, তোতারটিপি, পানছড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডুবারিয়া, সুতাং পাড়, শায়েস্তাগঞ্জের লাদিয়াসহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা লালচান বাগান-সুতাং সড়কে চলাচল করেন। চুনারুঘাটের বাসিন্দারা সড়কটি ব্যবহার করে উপজেলা ও জেলা সদরে যাতায়াত করেন। সড়কটি দিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দারাও হবিগঞ্জ শহরে যাতায়াত করে থাকেন। গত কয়েক বছরে কোনো সংস্কার কাজ না হওয়ায় লালচান্দ চা বাগান-সুতাং সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে ও খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, সাম্প্রতিক কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কটি প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে লালচান্দ চা বাগান থেকে সড়কের তোতারটিপি অংশটুকুর অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। স্থানীয়রা রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার ও আপাত সমাধান হিসেবে সলিং (ইট দিয়ে সড়কের খানাখন্দ ভরাট) করতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
তোতারটিপি এলাকার শাহ সুমন বলেন, ‘সড়কটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও কয়েক বছর ধরে মেরামত না করায় এটি দিয়ে আমরা বহু কষ্টে যাতায়াত করি। সড়কটির অনেক জায়গায় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং বর্ষাকালে গর্তে বৃষ্টির পানি জমে তা কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা মাসুক মিয়া জানান, এমনিতেই সড়কটির বেহাল দশা। তার ওপর সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে পানি জমে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। অনেকগুলো গ্রামের বাসিন্দাদের উপজেলা কিংবা জেলা শহরে যাতায়াতের এটিই একমাত্র পথ। অন্তঃসত্ত্বা নারী ও অসুস্থদের এ পথ দিয়েই হাসপাতালে যেতে হয়।
বশির মিয়া নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে এই সড়ক দিয়ে হেঁটেই যাতায়াত করা যাচ্ছে না। যানবাহন চলবে কীভাবে। মাত্র ১৯০ ফুট সড়ক সংস্কার না করায় ১০টি গ্রামের মানুষ ব্যবহার করতে পারছে না।
এদিকে সড়কটির বেহাল দশায় ফসল ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এ অঞ্চলের হাজারো কৃষক। স্থানীয় কৃষক সনজীত দাস বলেন, সড়কটি দিয়ে যানবাহন দূরে থাক, মানুষই চলাচল করতে পারছে না। কাদায় একাকার হয়ে পড়েছে। যত দ্রুত সম্ভব সড়কটি ঠিক করা হোক।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী দীপক কুমার দাস বলেন, এই সড়কের সামান্য অংশের কাজ বাকি রয়েছে। বরাদ্দ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শানখলা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, লালচান্দ থেকে সুতাং যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির তোতারটিপি এলাকার অবস্থা খারাপ। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে সড়কের কিছু স্থান কর্দমাক্ত হয়ে পড়েছে। পিচ্ছিল সড়কে চালক ও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।