কমলগঞ্জে ৫৪ বছর পর সুপেয় পানির দুঃখ ঘুচল কালেঞ্জিপুঞ্জিবাসীর

দৈনিকসিলেট ডটকম :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের দুর্গম কালেঞ্জি খাসিয়াপুঞ্জির অধিবাসীদের দীর্ঘ ৫৪ বছর পর সুপেয় পানির দুঃখ ঘুচেছে। এ পুঞ্জিতে ৯০টি পরিবারের বাস।
বিদ্যুতের ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় ৩০০ ফুট পাহাড়ি টিলার নিচে নেমে শ্রমিকের মাধ্যমে কূপ থেকে সুপেয় ও দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের জন্য পানি সংগ্রহ করতে হতো পুঞ্জিবাসীকে।
পরিবারপ্রতি ১০ টাকার বিনিময়ে এক কলস খাবার পানি (সপ্তাহে দু’দিন) কিনতে হতো তাদের। এই পানি দিয়ে প্রতিটি পরিবার চলত সারা সপ্তাহ।
জানা গেছে, সুপেয় পানির অভাবে স্থানীয় আদিবাসীদের কষ্টের কথা নিয়ে সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা ইনফো হান্টারের ইউটিউব এবং ফেসবুক পেজে একটি তথ্যচিত্র প্রচার হয়। ওই ভিডিও দেখে ঢাকার গালিব আহমেদ এবং তিন প্রবাসীসহ পাঁচজন সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসেন। তাদের সহায়তায় কালেঞ্জি খাসিয়াপুঞ্জিবাসীর ৫৪ বছরের দুঃখের অবসান ঘটেছে।
শনিবার সকালে পুঞ্জির অধিবাসীদের উপস্থিতিতে সুপেয় পানির উপকরণগুলো তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আট হাজার ওয়াটের একটি জেনারেটর, একটি সাবমার্সিবল পানির পাম্প ও সাতটি বড় পানির ট্যাঙ্ক।
ইনফো হান্টার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধাপে ধাপে পিছিয়ে পড়া খাসিয়াপুঞ্জির সব সমস্যা সমাধানে তারা কাজ করবেন। বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে তারা আশ্বাস পেয়েছেন। সুপেয় পানির উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফিলা পতমী, কালেঞ্জিপুঞ্জির মান্ত্রী (সমাজপ্রধান) নাইট খেরিয়াম, সহকারী মান্ত্রী নিয়ন খেরিয়াম, রোজিনা তংপের, গালিব আহমেদসহ পুঞ্জির বাসিন্দারা।